স্বাস্থ্যসেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০০ সালের শেষ দিকে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে। ২০১০ সালে সেবার মান বাড়াতে একজন হেলথ কেয়ার প্রোভাইটার নিয়োগ দেয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের অন্যান্য কর্মীরাও পাশাপাশি সেবা প্রদান দিয়ে আসছে।
সেবার নামে কিছু ক্লিনিকের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রোভাইটারদের ফাঁকিবাজিতে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পল্লী এলাকা হতদরিদ্র সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হাজীগঞ্জের হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের একমাত্র লাউকরা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার এর সামনে গিয়ে দেখা যায় তালা ঝুলানো।
এদিকে কয়েকজন রোগী গেইট বন্ধ দেখে চলে যাচ্ছে। পাশে মসজিদের সামনে এলাকার কয়েকজন বলছে ‘সরকার কি লোক নিয়োগ দিলো তাকে খুঁজতে রোগীরা বাড়ি গিয়েও দেখা পায়না।’ টঙ্গীরপাড় গ্রামের ফাতেমা ও নাজু বেগম এবং লাউকরা গ্রামের মানিক মিয়া বলেন,‘মাঝে মধ্যে দেখি এখানে ৫-৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর ভিড়। আবার দেখি বন্ধ থাকে। আমরা যারা দূর-দূরান্ত থেকে এখানে আসি যদি দেখি ক্লিনিক বন্ধ তাহলে তাকে ফোন দিলেও সে ধরে না।’
তাদের সামনেই লাউকরা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মো.কামরুজ্জামানকে ফোন দিলে তিনি বলেন,‘আমি উপজেলায় আছি। রোগীদের দিন তারিখ দেয়া আছে এর বাহিরে আসলে কিছু করার নেই। তার মানে- আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী চলে স্বাস্থ্য ক্লিনিকের সেবা! আপনার কোনো কথা থাকলে পরে আসেন।আমি এখন ব্যস্ত বলে ফোন রেখে দেন প্রোভাইটার কামরুজ্জামান।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আনোয়ারুল আজিম বলেন,‘এ ধরনের অভিযোগ অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি অচিরেই তাকে এবং সেখানে দেখবালের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে ডেকে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
জহিরুল ইসলাম জয়
২৯ আগস্ট ২০১৯