হাজীগঞ্জে এতিম ভাতিজীদের ওপর চাচার হামলা

হাজীগঞ্জে এতিম ভাতিজিদের উপর চাচার অতর্কিত হামলা অভিযোগ। মূলত বাবার মৃত্যুর পর সম্পদ নিয়ে চাচার কাড়াকাড়ি। হামলায় স্বীকার ভাতিজি ও তাদের মা গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের বড় ফকির বাড়িতে ঘটেছে। এতে নিরুপায় হয়ে মৃত ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী বিধবা আছিয়া বেগম হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করে।

জানা যায়, ২২ অক্টোবর রবিবার সকাল ৮ টায় টোরাগড় বড় ফকির বাড়িতে চাচা মো. নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী জীবনী বেগম, মেয়ে নদী আক্তার ও জুই আক্তারসহ মো. মুরাদ হোসেন, এলোপাথাড়ি ফলফলাদি বৃক্ষ গাছ কেটে ধ্বংস করে এবং বাউন্ডারি টিন ভেঙ্গে তাদের দখলে নিয়ে যায়। টিন নিয়ে যাওয়ার সময় ভাতিজি মুন্নি বেগম ও ভাবী আছিয়া বেগমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে বিধবা আছিয়া বেগম ও তার মেয়ে মুন্নি বেগম আহত হয় তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করে। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

আছিয়া বেগম বলেন, আমার বিভিন্ন প্রজাতির ফল ফলাদি বৃক্ষ গাছ প্রায় যার আনুমানিক মূল্য ৩০ হাজার টাকা হবে সে গাছগুলো কেটে নষ্ট করে এবং আমাদের মা-মেয়েকে অতর্কিত হামলা করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলা ফুলা যখন তৈরি করে এবং আমার মেয়ে মুন্নি বেগমকে গলা চেপে ধরে জানে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমার মেয়ের গলায় থাকায় এক ভরি ওজনের গলার চেইন যারা আনুমানিক মূল্য ৯০ হাজার টাকা, কানে থাকা স্বর্ণের কানের দুল আনুমানিক মূল্য ৪৫ হাজার টাকা হবে, সে জিনিসগুলো তারা হাতি নিয়ে যায়।

অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে। তারা হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়ায়। হাজীগঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ দেওয়ার কারণে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মা মেয়েকে এলোপাতারি মারধর শুরু করে। গাছপালা কেটে ধ্বংস করে দিবে বলে হুমকি দিয়ে আক্রমণাক্ত হয। তিনি আরো বলেন আমার স্বামী মৃত্যুর পর থেকে আমাদের সম্পত্তিগুলো জোরপূর্বক আমার বাসুর দখল করে রেখেছে। আমাদের সম্পত্তি আমাদেরকে বুঝিয়ে দিচ্ছে না। আমাদের ঘরে কোন পুরুষ লোক না থাকাতে একের পর এক আমরা তাদের অমানবিক নির্যাতন ধৈর্য ধরে আসছি।

এ ব্যাপারে বাসুর মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমি আমার ভাইয়ালা সম্পদের জন্য বিভিন্নভাবে তাদেরকে বলার পরেও আমাকে সম্পদ দেয়নি বলে আমি আমার সম্পদের বোগ দখলে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি মাত্র। আমি অপরাধ করলে এটাই করেছি এবং গাছগুলো কেটেছি। বাউন্ডারি টিন ভেঙ্গে আমার ঘরে নিয়ে রেখেছি তবে এখন প্রশাসন এসে বলার পর আমি তাদের টিম তাদেরকে দিয়ে দিয়েছি। মারধরের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করে বলেন, আমি মারধর করার জন্য তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।

পরে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উভয়কে আগামীকাল সোমবার বিকাল তিনটায় হাজীগঞ্জ থানা এসে বসার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। হাজীগঞ্জ থানার এস আই সহিদ তাৎক্ষণিক বাউন্ডারি ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার টিনসহ মাল গুলো উদ্ধার করে দেন এবং সবাইকে স্ব-স্ব স্থানে থেকে নীরবতা পালন করার জন্য অনুরোধ করেন।

এলাকার সচেতন মহল বলেন, আমাদের এলাকায় যে নেকার জনক ঘটনা ঘটেছে এজন্য আমরা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী দুঃখ প্রকাশ করছি। তার সাথে বলছি এ বিষয়টি যেন আর বাড়াবাড়ি না হয়, আপনারা দয়া করে সমাধান করে দেন। তার জন্য আমরা এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।

প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়, ২২ অক্টোবর ২০২৩

Share