চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কূল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদে ২ জন নিজেদেরকে দাবি করছেন। এদের একজন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের পত্রে নিয়োগপ্রাপ্ত অপরজন জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে প্রক্রিয়াধীন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঘোষিত প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুল হক ও জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে লিখিতপত্রে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মানিক চন্দ্র পাল।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় । স্বাক্ষর জাল ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে কার্যক্রম শুরু করে আবদুল হক। তার অনিয়মের কথা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও সহকারী শিক্ষকগণ এবং এলাকবাসী জানতে পেরে অনেকেই ক্ষুব্দ হয়।
পরে গত ২০ অক্টোবর তার ভূয়া নিয়োগের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো.আলী মুরাদ ও জাফর আহম্মেদ একটি লিখিত অভিযোগ জেলা শিক্ষা অফিস বরাবর দায়ের করে। তার আলোকে গত ০৯ ডিসেম্বর জেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো.শফি উদ্দিন সরোজমিন তদন্তে বিদ্যালয়ে আসেন। সকল যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মানিক চন্দ্র পালকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শফি উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত পত্র প্রদান করা হয়।
এমন চিত্র দেখে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) বিদ্যালয়ে এসে জড়ো হয় এবং বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবদুল হককে বলেন ‘আপনি কীভাবে এতোদিন ধরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন?
জবাবে তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাছান মিয়াজী আমাকে এখানে বসিয়েছেন।’
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মানিক পাল বলেন, আবদুল হক জোর করে বিদ্যালয়ে বসে আছে। আমার কাছ থেকে এখনো কোন কাগজ পত্র বুঝে নেয় নাই।
এ ব্যাপারে অফিস চলাকালীন সময়ে জেলা মাধ্যমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউদ্দিনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন।
রাতে পুনরায় ফোন দিলে তিনি অফিসিয়াল ডকুমেন্ট দেখলে জানা যাবে বলে তিনি অনেকটা এড়িয়ে যান।
জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট
|| আপডেট: ০৯:৩০ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ/এমআরআর