হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে একাধিক নারীর সাথে তৈরি পর্নোভিডিওসহ যুবক গ্রেফতার

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে একাধিক নারীর সাথে নিজের তৈরি পর্নোভিডিওসহ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।

পুলিশ ভিডিও ফুটেজের আলামত দেখে সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে কৌশলে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ পোস্ট অফিসের সামনে থেকে তাকে আটক করে।
আটক যুবক উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামের নদী বাড়ীর আবদুর রশিদের ছেলে নুরুল আমিন ওরফে মোডা নুরু।

অভিযোগে জানা যায় ‘এলাকায় অসহায় ঋণগ্রস্ত নারী ও প্রবাসীর স্ত্রীদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে মাধ্যমে ব্লাকমেইল করে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরি করে আসছে নুরু। তার বাড়ির সামনে নিজের একটি দোকানে থেকে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার অসহায় মেয়ে ও প্রবাসীর স্ত্রীদের সাথে কৌশলে প্রেম নিবেদন করে শারিরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একধরণের নেশা হিসেবে শারিরিক সম্পর্কের ভিডিও চিত্র ধারণ করে (ভিডিওচিত্রগুলো প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে)।

পরবর্তীতে ভিডিও গুলো ইন্টারনেট কিংবা ফেসবুকে ছেড়ে একধরণের ব্ল্যাকমেইল করে তাদেরকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছে।

স্থানীয় সুত্রে আরো জানাযায়, নুরু ইয়াবসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও বিক্রি করে আসছে। তার এ মাদক বিক্রিতে নিজস্ব বাহিনীও রয়েছে। যাদের ভয়ে প্রতারিত হওয়া নারী ও স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতে সাহস পায়নি।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকদের সহযোগীতায় ব্লাকমেইল হওয়া একই গ্রামের এক অসহায় নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ নুরুল আমিন (মোডা নুরু) কে অবশেষে গ্রেপ্তার করে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ২৩ জুলাই তার নিজ দোকানে প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করতে গেলে স্থানীয় এক গৃহবধূকে নুরু জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

সেই থেকে এলাকার লোকজন কৌশলে তার ব্যবহৃত মোবাইলের মেমোরি কার্ড উদ্ধার করে। তাতে দেখা যায় অভিযোগকারী গৃহবধূ ছাড়াও আরো একাধিক নারীর সাথে তার এমন যৌন সম্পর্কের ভিডিওচিত্র মেমোরিতে রয়েছে। বর্তমানে এগুলো পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাবেদুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তার সাথে আরো কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা রয়েছে।’

করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ৫০ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ

Share