চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে প্রায় ৫০ একর কৃষি জমি এক যুগ ধরে পানিতে তলিয়ে আছে । এক সময়ের কৃষি চাষাবাদের ফসলি মাঠে সব কিছুই চলছিল নিয়ম অনুযায়ী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মাঠটির চার পাশের আঁকা-বাঁকা রাস্তায় খালের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফসল উৎপাদনসহ চলাচলে সারাবছর দুর্ভোগে থাকতে হয় বলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এমন চিত্র প্রতিবছরের মত এবারো ধরা পড়ে হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ফসলি মাঠে।
দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নে বাড়ির রাস্তা করে পানি চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় সুবিদপুরসহ তৎসংলগ্ন এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে কৃষি জমিতে পানি আটকে রয়েছে। এর ফলে ওই এলাকার কৃষি জমিতে বীজতলাসহ কৃষি জমি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। এক যুগ ধরে ওই অঞ্চলের কৃষকসহ কয়েক হাজার পরিবার এ দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বলাখাল রেল স্টেশনের পূর্ব অংশে রেলের ৩২নং ব্রিজটির নিচ দিয়ে পুরো সুবিদপুর গ্রামসহ আশ-পাশের গ্রামের প্রায় ৫০ একর কৃষি জমির পানি নামার একমাত্র পথ হচ্ছে খাল। আর এ খালটি রেলের ব্রিজের নিচে দক্ষিণ দিক দিয়ে বাঁকা-সোজা হয়ে সিএন্ডবি সড়কের পাশের খালে গিয়ে মিশেছে।
সে পানি বলাখাল এলাকা ধরে ডাকাতিয়া নদীতে গিয়ে নামে। আর পানি নামার এ খালটি বার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। যার মূল কারণ হলো খাল পাড়ের মানুষগুলো নিজেদের বাড়ির রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে খালটি দখলে নিয়ে বন্ধ করে ফেলেছে। আর এ কারণে ঐ সকল গ্রামের সাধারণ মানুষের জমির পানি এখনো পানিতে তলিয়ে আছে।
স্থানীয় চৌধুরী গাজী বাড়ির কৃষক আ.রব ও আবিদ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি সময়ে এখনো আমাদের ফসলি জমিতে দু’ ফুটের মতো পানি জমে আছে। আর এ পানি স্বাভাবিকভাবে না শুকানো ছাড়া কিছু করা যাবে না। কারণ পানি নামার পথ বন্ধ। কয়েক বছর ধরে আমরা এ সমস্যায় ভুগে আসছি। এ কারণে আমাদের কৃষি কাজসহ সকল ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এক কথায় আটকে থাকা এই পানির কারণে আমরা শীতের ফসল ঘরে তুলতে পারছি না।’
ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বহু দৌড়াদৌড়ি করেছি, লাভ নেই। যারা খালের জমি দখল করে রেখেছে তাদের দৌড় অনেক ওপরে। আমাদের পুরো এলাকা পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। অথচ এ সমস্যাটি কেউ নজরেই আনছে না। ’
এ বিষয়ে জানতে লতিফ গাজী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, তখনকার সময়ের ইউএনও স্যারের নির্দেশে সুবিদপুরের ঐ অংশে অবৈধ দখলকারীদের নাম ঠিকানাসহ জনস্বার্থে ঐ সকল বাড়ির সড়ক উচ্ছেদপূর্বক পানি চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য প্রতিবেদন দিয়েছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.জিয়াউল হক চাঁদপুর টাইমসকে জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই । আমি জেনে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়
১১ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার