চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের মা, মেয়ে ও চাচীসহ সাত নারীকে বেদড়ক পিটুনি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটেরা। শনিবার রাতে হাজীগঞ্জ থানায় শামছুন্নাহার বাদী হয়ে ১২ বখাটে ও অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার রাতে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ড মাঝি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হলেন পৌর ৫নং ওয়ার্ড এলাকার খোকনের স্ত্রী শামসুন্নাহার (৩৫) ও মেয়ে অনু (১৭), আলী আক্কাসের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (২৮) ও মেয়ে রিমু (১৩), হাজী আলী আরশাদের মেয়ে আমেনা খাতুন (২২) ও জান্নাত (১৫) এবং আলী আক্কাসের মেয়ে সুমাইয়া শিমু (২৫)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার (২২ জুন) মাঝি বাড়ি সৌদি প্রবাসী খোকনের মেয়ে অনু, আলী আক্কাসের মেয়ে রিমু ও হাজী আলী আরশাদের মেয়ে জান্নাত সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে একই ওয়ার্ডের ইব্রাহিম ও তুষার রাস্তা থেকে কাঁদা মাটি হাতে নিয়ে জান্নাতের শরীরে মেখে দেয়। বাকীরা রেনু ও অনুর উড়না টেনে শরীর থেকে ফেলে দেয়।
অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মকিমাবাদের সেলিম মিয়ার ছেলে তুষার-১ (২০), মৃত হাবিউল্যাহর ছেলে ইব্রাহিম-১ (২০), তুষার-২ (২০), বাবু (২২), রাসেল (১৮), আল আমিন (২০), রাজন (২২), সজিব (২২), মাহিম (১৯), ইব্রাহিম-২ (১৯), আশিক (২০), জিহাদ (১৯) আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী অনুর বাড়ীতে হামলা চালায়।
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জান্নাত ও সায়রা জানায়, পথে বের হলেই কতিপয় বখাটে ইভটিজিং করতো। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বখাটেরা তাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়।
হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। জড়িতদের শিগগির আইনের আওতায় আনা হবে।