হাজীগঞ্জে আমপাড়াকে কেন্দ্রকরে মারামারি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী, পুরুষ, শিশুসহ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও সুরাহা পাচ্ছেনা বলে বাদীপক্ষের ক্ষোভ প্রকাশ।

সরেজমিন তদন্তে ও মামলা সৃত্রে জানাযায়, উপজেলার সদর ইউনিয়ন সুহিলপুর সোলেমান হাফেজ সাহেবের বাড়ীতে গত ১১ মে শনিবার নুরু মিয়ার ছেলে স্কুল শিক্ষক শাহাদাত হোসেনের পরিবার আম পাড়তে যান। আম পাড়া অবস্থায় তাদের কবরের স্থানের উপর মুরগী দেখতে পান। মুরগী কার বলে ডাকচিৎকার করে তাৎক্ষণিক একটি মুরগী মেরে পেলে।

মুরগির মালিক একই বাড়ীর মো. সুজন মিয়ার স্ত্রী মাহফুজা বেগম মুরগী মারতে দেখে ডাক দিলে তার উপরেও হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে এসে হামলার স্বীকার হোন মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাহাবুদ্দিন (৩৭), স্ত্রী সুমী আক্তার (২৭), আলাউদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার (২৬), আ. হান্নানের স্ত্রী সানজিদা আক্তারসহ কয়েকজন শিশু। তাদেরকে বাড়ীর লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।

হামলাকারীরা হলেন, নুরু মিয়া ও তার স্ত্রী সালমা বেগম তাদের ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩০) ও জহিরুল হক (৪৫) এবং মেয়ে সালমা আক্তার (৩৫), নয়ন আক্তার (২৫)। শামছুল হকের ছেলে খলিলুর রহমান (৪৫) ও রুবেল (৩০)। জহিরুল হকের স্ত্রী নাজমা বেগমসহ কয়েকজন ভাড়াটিয়া লোকজন।

স্থানীয় ভাবে বিচার না পাওয়ার ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু ঘটনার কয়েকদিন পার হলেও সমাধানের লক্ষ্যে নেই কোন অগ্রগতি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

বাড়ীর হান্নান মিয়া ও সুমি বেগম বলেন, ঘটনার দিন শাহাদাত গংরা আম পাড়তে আসলে তাদের সীমানা কবরের স্থানে মুরগী হাটঁতে দেখে একটি মুরগী মেরে ফেলে। তা দেখে মুরগির মালিক কেঁদে উঠলে তাদের উপরেও হামলা চালায়।

মামলার বাদী সুজন মিয়া বলেন, আমি একজন মিশুক চালক। আমার চালিত মিশুক গাড়ীটি আমি সারাদিন ভাড়ার চালানো শেষে আমাদের বাড়ীর সামনে রাখি। উক্ত মিশুকটি আমাদের বাড়ীতে রাখার বিষয় নিয়া প্রতিপক্ষরা আমাদেরকে প্রতিদিন গাল-মন্দ করে। উক্ত বিষয় নিয়া মূলত আমাদের পূর্ব থেকে বিরোধ। উক্ত বিরোধের জের ধরে তারা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে লাঠি-সোটা, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়া বেআইনি ভাবে দলবদ্ধ হয়ে এ অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছি না।

প্রতিপক্ষ স্কুল শিক্ষক শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে তারা থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। যা বুঝার তাদের সাথে পরে বুঝবো।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ বলেন, বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে দায়িত্বশীল অফিসারকে নির্দেশনা দিবো।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৪ মে ২০২৪

Share