Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে আমন ধান ও রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি, বিপাকে কৃষকরা
আমন

হাজীগঞ্জে আমন ধান ও রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি, বিপাকে কৃষকরা

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির বৃষ্টি ও বাতাসে আমন ধান ও রবি শস্য মাটিতে ফেলে দিয়েছে। ঠিক যে সময় আমন ধান কেটে ঘরে তোলার সময় ঠিক সেই সময়ে ঝড় বৃষ্টিতে ধান কাটার সর্বনাশ করে দিয়েছে। শুধু আমন ধান নয় রবি ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সদ্য রোপনকৃত শীতকালীন সবজীর চারা মাটির সাথে মিশে গেছে। এসব ফসলের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিতে ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও, ৮ নং হাটিলা পূর্ব, ১১নং হাটিলা পশ্চিম , ১২ নং দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের ফসল সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চোখে পড়েছে। পানি আটক থাকার কারণে আমন ধানের ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দ্রুত পানি না সরলে পচনশীল দেখা দিবে। তাই এ অঞ্চলের কৃষকরা ফসল তোলার চিন্তায় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।

এদিকে হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল এলাকায় প্রায় একশ হেক্টর জমিতে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক, সিনা মুলা ও ক্ষিরা চাষ করা হয়। শুক্রবার দিনভর মিধিলি‘র তাণ্ডবে এসব ফসলের আবাদি জমিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা জানিয়েছে এখানে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির এবছর সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রেতারা কিছুদিনের মধ্যে শাকসবজি খেতে পারতো। এবার উৎপাদনের পরিমাণও ব্যাপক হারে ভালো ছিল। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের মানুষের কিছুটা হলেও চাহিদা মেয়েটা তো।

উপজেলার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের সিহিরচোঁ,কালচোঁ, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা, পাতানিশ, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়াইন, বেলঘর ও কাদলা মাঠের কৃষকদের সাথে কথা হয়। এখানকার কৃষকরা বলেন, ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমাদের বোরো ধানের ফসল মাটিতে লুফে পড়েছে। তাছাড়া আলু রোপণের মাঠ পানিতে তুলিয়ে গেছে। শাকসবজি উৎপাদন করতে রবি শষ্যের প্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের পর নতুন করে চেষ্টা কাজ করছি, তবে তার আগে যদি মাঠ থেকে পানি না নামে তাহলে ফসল পচনশীল দেখা দিবে।

এদিকে উপজেলার গ্রামীণ কিছু এলাকা এখনো বিদ্যুৎ বিহীন বলে জানাযায়। মিধিলি‘র তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় বিদুৎ খুটির উপর গাছ পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা সরিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পর্যায়ে উপ কৃষি অফিসার গন সরেজমিনে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারনে কাজ করছে। আমরা তা নির্ধারন করে জরিপ প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৯ নভেম্বর ২০২৩