চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আড়াই বছরের শিশু মুনতাহার হার্টে ছিদ্র ধরা পড়েছে জন্মের পর। চিকিৎসক জানিয়েছেন অপারেশন করতে লাগতে পারে প্রায় ৭/৮ লক্ষ টাকা। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই শিশু সন্তানকে বাঁচাতে সরকার ও বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেছেন শিশু মুনতাহা ইসলামের মা জান্নাত বেগম।
শিশু মুনতাহা ইসলাম হাজীগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের খাকবাড়ীয়া গ্রামের শাহজাহান বেপারীর তৃতীয় সন্তান। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় শাহজাহান ৩ লাখ টাকা ঋণ করে ওমান যান। দেশে যে টাকা পাঠায় তাতে পরিবারের খরচ চালাতে হিমসিম দেখা দেয় কিন্তু চিকিৎসার মতো এতো টাকা জোগার করা সম্ভব হয়ে উঠছেনা।
অসুস্থ শিশু সন্তান মুনতাহার মা জান্নাত বেগম বলেন, জন্মের ৬ মাসের মাথায় ২০২২ সালে প্রথমে হাজীগঞ্জে ডা. বিজয় দত্তের কাছে আমার বাচ্চাকে নিয়ে যাই । প্রথমে কিছু বোঝা না গেলেও তেমন কোন পরিবর্তন না দেখা যাওয়ায় পরে চাঁদপুরে ডা. জমিরউদ্দীনের তত্ত্বাবধানে আরো কিছুদিন চিকিৎসা সেবা গ্রহন করি। কিন্তু দিন যত যায় কোন ভাবেই তেমন কোন শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায়নি। পরবর্তী সেই ডাক্তারের পরামর্শে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালে যাই। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে প্রফেসর নুরুন্নাহার ফাতেমা জানান শিশুটির হার্টে ছিদ্র ও রক্তনালীতে সমস্যা আছে। দ্রুত অপারেশন না করলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
শিশু মুনতাহার মা জান্নাত কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ডাক্তার বলেছেন আমার বাচ্চার অপারেশন ভারতের মাদ্রাজে করালে হয়তো বাচাঁনো সম্ভব হবে। অপারেশন করতে প্রায় সাত থেকে আট লাখ টাকা খরচ হবে শুনে আমার মাথায় কিছু কাজ করছে না। একদিকে স্বামী বিদেশে বেকার, অন্যদিকে দেনাদারদের চাপ। তারপর আবার মেয়ের অপারেশন। এরপর তিনি আর কথা বলতে পারেননি। দুই চোখ দিয়ে শুধু অশ্রু ঝরে। তার মেয়ের অপারেশনের জন্য সরকার এবং বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
জান্নাত বেগমের প্রতিবেশী আলেয়া বেগম জানান, পরিবারটি খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। মেয়ের এই রোগ ধরা পড়ার আগেই ধারদেনা করে জান্নাতের স্বামী বিদেশ গেছে। গ্রামের সব মানুষ মিলে কিছু চাঁদা তোলার ব্যবস্থা চলছে। তবে এই বিশাল অংকের টাকা জোগাড় করতে প্রয়োজন বিত্তবানদের সহায়তা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, শিশুটির চিকিৎসা করাতে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। তাই সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে ফুটফুটে সন্তান তার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
অসুস্থ শিশু মুনতাহা ইসলামকে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে যোগাযোগ করুন- মা জান্নাত বেগম বিকাশ নম্বর ০১৩১৬৭২৯০৪৭, অথবা ব্যাংক হিসাব নম্বর- ২৫১১-০৩১০১৮৬৫৩, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, হাজীগঞ্জ শাখা, চাঁদপুর।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,৯ জুন ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur