হাজীগঞ্জে আগাম ঈদ উদযাপন

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা ও শমেশপুর, অলিপুর ও বলাখাল গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন।

১৯২০ সাল থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রাগ্রামের মরহুম মাওলানা ইসহাক সাহেব হানাফী মাযহাবের অনুসারে সারা বিশ্বের যে কোন প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ ও রোজা পালন করে আসছেন তারা।

শনিবার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ মাদ্রাসা মাঠে ঈদের জামাত  সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।

দরবারের বড় পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে বিশ্বর প্রথম চঁন্দ্র দর্শণের নির্ভর যোগ্য সংবাদের ভিত্তিতে মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব। শুক্রবার সৌদি আরবে পবিত্র হজ্ব পালিত হয়েছে।

আজ শনিবার আমাদের ঈদ। পাশাপাশি ঢাকার সদরঘাটস্থ খানকা, আসকোনা এবং পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরিফে ঈদের জামাত হয়েছে।

পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয় চৌধুরী আল মাদানী বলেন, ১৯২৮ সার থেকে বিশ্ব মুফতী আল্লামা ইসহাক রহ.কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত চাঁদপুর জেলার সার্দ্রা ঐতিহাসিক দরবার শরীফের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ সর্বপ্রথম নবচঁন্দ্র দর্শনের নিভরযোগ্য সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবছরই রোজা,  ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহাসহ ধর্মীয় সকল উৎসবাদি পালন করে থাকি।

উল্লেখ্য, আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রতি বছর সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯৩ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারী হয়ে প্রায় ৫ টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৯ জুলাই ২০২২

Share