হাজীগঞ্জের জয়শরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.মমিন মাস্টারের বিরুদ্ধে আপন ভাইয়ের নগদ অর্থ ও সম্পত্তি ‘আত্মসাতের’ অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়, উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের জয়শরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিন মাস্টার ওই গ্রামের পাঠান বাড়ির মৃত ইউনুছ বেপারীর ছেলে।
তার ছোট ভাই মানিক মিয়া দীর্ঘ ৯ বছর সৌদি আরবে ছিল। বিদেশ থাকা কালীন বড় ভাই মমিন মাস্টারের একাউন্টে ২৫ লাখ টাকা পাঠান। সে সময় ৮৪ শতাংশ জায়গা যৌথভাবে এবং মানিকের নামে ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন বলে জানায়।
ছোট ভাই মানিক বিদেশ থেকে আসার পর তার টাকা ও সম্পত্তির দলিল চাইতে গেলে সে কোনো কর্র্ণপাত করেনি। এমনকি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও শালিশদারদেরও পাত্তা না দিয়ে উল্টো মমিন মাস্টার তার স্ত্রী নাছরিন বেগমকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এতে মানিক ও তার স্ত্রী নারগিস বেগম এবং ছোট ভাই শাহাদাৎকে আসামী করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল মানিক চাঁদপুর আদালতে বন্টন মামলা দায়ের করেন। এ অবস্থায় ভাইয়ের অর্থ ও সম্পত্তি আতœসাতের ঘটনা জেনে যায় এলাকাবাসী।
সোমবার (১১ জুলাই) ঘটনাস্থলে কথা হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মিয়া, আকবর খাঁ, আবুল কালাম, আবুল কাশেম ও তাদের চাচা সেরাজুল হকের সাথে।
তারা জানান, মমিন মাস্টার একজন শিক্ষক হয়ে ছোট ভাইয়ের সাথে এমন প্রতারণা করা ঠিক হয়নি।
মানিক মিয়া বলেন, ‘আমি ৯ বছরে বিদেশ থেকে ২৫ লাখ টাকা পাঠিয়েছি। ৮৪ শতাংশ বাবার নামে এবং ১৮ শতাংশ আমার নামে জমি ক্রয় করেছে অথচ এখন কিছুই দিচ্ছে না।’
অভিযুক্ত শিক্ষক মমিন মাস্টার বলেন, ‘আমার ছোট ভাই মামলা করেছে আমিও করেছি। এখন প্রমাণাদি থাকলে সে অনুযায়ী রায় হবে।’
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়