হাজীগঞ্জে সরকারি খাস বিল থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ এমন শিরোনামে চাঁদপুর টাইমসের সংবাদ প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া।
১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়ার নজরে আসলে তাৎক্ষণিক পুলিশ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেন।
বাস্তবতার মিল পেয়ে অবৈধ ড্রেজার বসানোর অভিযোগে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিতে মোবাইল কোটে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি হলেন, উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের কালচোঁ গ্রামের মোস্তফা কামাল মজুমদার ও কবির হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০/১৫ এর ধারা অনুযায়ী নগদ এ অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ, হাজীগঞ্জে সরকারী খাস বিল থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া যায়। কালচোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কবির বকাউলের বিরুদ্ধে এমন দূরসাহসিক অভিযোগ উঠেছে। খাস জমি থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল কালচোঁ মাঠে লোক পাঠিয়ে মেশিন বন্ধ রেখেছেন ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তা বাহাদুর।
স্থানীয়রা জানান, কালচোঁ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাট ভরাটের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কবির বকাউলসহ অন্যান্যরা এই সরকারী খাস জমিতে শ্যালো মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করছেন।
এর পূর্বে কালচোঁ গ্রামের মজুমদার বাড়ির লোকজন খাস জমির মালিকানা দাবি করে মাটি উত্তোলনকারীদের বাঁধা দেন। তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে বুধবার সকালে পুনরায় ড্রেজার মেশিন চালু দেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কবির বকাউল, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তফা কামাল তপদার ও বাহার মজুমদার।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিও নাছির জানান, পত্রিকা ও লিখিত অভিযোগ দেখে ইউএনও স্যার সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্তদের নগদ ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
প্রতিবেদকঃজহিরুল ইসলাম জয়,১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১