চাঁদপুরে হাজীগঞ্জে দুপুরের খাবারের আয়োজনকে কেন্দ্র করে কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভাধীন বলাখাল জে এন স্কুল এন্ড কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বুধবার সকালে কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়ক প্রায় আধাঘন্টা অবরোধ করে। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
হাজীগঞ্জ জে এস স্কুল এন্ড কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ আবু তাহের মজুমদার তাঁকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে হাজীগঞ্জ থানায় যুবলীগের দুই নেতাকে বিবাদী করে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। জিডিতে হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মনির হোসেন ও হাজীগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহিদ রহমান জাহিদকে বিবাদী করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র ও এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরা বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরী কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করেন। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী ও কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবিব অরুনসহ নেতৃবৃন্দ ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আসেন। টুর্ণামেন্ট কমিটির কর্তাব্যক্তিরা নেতৃবৃন্দুকে দুপুরের খাবারের প্রতিষ্ঠানে নেন। কিন্তু সেখানে খাবারের কোন ব্যবস্থা ছিল না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠান থেকে নেতাদের অ্যাপয়ন না করার কারণে মনির ও জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বের ১৫/২০ জন নেতাকর্মী কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীকে লাঞ্চিত করেন। তারা কলেজের বেশ কয়েকটি দরজা-জানালা ভাংচুর করেন।
অধ্যক্ষ আবু তাহের বলেন, ‘অতিথিদের অ্যাপায়নের জন্য অফিস সহকারি নুর মোহাম্মদকে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য বলেছি। টুর্ণামেন্ট কমিটির সদস্য তছলিম আহমেদ ঐ টাকা নেননি। তারা অ্যাপায়নের ব্যবস্থা না করে নেতাদের অপমানের জন্য আমাকে দায়ী করেন এবং লাঞ্চিত করেন। অভিভাবক সদস্য শাখাওয়াত হোসেন বলেন, মনির অধ্যক্ষের কলার চেপে ধরেছেন। চেয়ার ছুড়ে মেরেছে। আর জাহিদ অফিস সহকারি নুর মোহাম্মদকে লাথি মেরেছে। তাদের এ জঘন্য আচরণ অগ্রহণযোগ্য।’
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাবেদুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। থানায় জিডির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি আপোষ মীমাংসার জন্য বসার সিদ্ধাস্ত হয়েছে। পরে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।’
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৫৯ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০১৮, বুধবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur