হাজীগঞ্জের মার্কেটগুলোতে যে হারে নারী-পুরুষ আর শিশুদের মার্কেটিং করার ঢল নেমেছে তা দেখে মনে হচ্ছে হাজীগঞ্জের মানুষ যেন করোনাকে জয় করে ফেলেছে। যেন মানুষ করোনাকে ভুলে ঈদের শপিং করতে ব্যস্ত।
করোনা নামের মরণব্যাধি আমাদেরকে দিন দিন গ্রাস করার জন্যে যে আমাদের খুব কাছে ঘোড়াফেরা করছে সেদিকে কারো কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।
প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে আর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে বারবার বসে স্বাস্থ্য বিধি ও লকডাউন মানার তাগিদ দিলেও ব্যবসায়ী আর ক্রেতার কাছে তা হাসির খোরাকের মতো বলে বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়,রোববার ও সোমবার সকাল থেকেই হাজীগঞ্জ বাজারে ছিলো ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। মার্কেটের সকল দোকানেই ঠিক ঈদের মার্কেটের মতো ভিড় দেখা গেছে। বাজারের প্রধান সড়কই ছিলো দিনভর সিএনজি অটোরিক্সা আর ব্যাটারি চালিত অটোবাইকের দখলে।
এ সময় ট্রাফিকের প্রধান কর্তাসহ সংশ্লিষ্টদেরকে সারাক্ষণ সড়কে ঘাম ঝরানো খাটুনি করতে দেখা গেছে।
এদিকে হাজীগঞ্জে সরকারি বেসরকারি প্রায় ২২ টি ব্যাংকের সব ক’টি শাখায় গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
মুদি, মনোহারী, বেকারী খাদ্য, দোকানসহ অন্য সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলো প্রচণ্ড ভিড়। কিছু খাবার হোটেলে সারাক্ষণ চোর-পুলিশ খেলতে দেখা গেছে। আবার ভ্যান রিকশায় করে কলা, তরকারি, ফল ফলাদি বিক্রি ছিলো দিনভর।
এ দিকে মাস্ক ব্যবহারে সরকারের কঠোর বিধি নিষেধ থাকলেও এ বিষয়ে স্থানীয়দের মাঝে আগ্রহ তেমন একটা চোখে পড়েনি। করোনার এই মহাদুর্যোগের মধ্যেও শতকরা ১৫/২০ জনকে মাস্ক ছাড়া হাট বাজারে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ জানান, বাজারে লোকসমাগম ঠেকাতে ইতিমধ্যে আমরা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিমিয় করেছি।
সোমবার থেকে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে জনসমাগম ঠেকাতে কাজ করবো।
প্রতিবেদকঃজহিরুল ইসলাম জয়,১২ এপ্রিল ২০২১