হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জের আম্বিয়া ১শ’ ৩৫ বছর বয়সেও দিব্যি সুস্থ্

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:

১শ’ ৩৫ বছর বয়সেও দিব্যি ঘুরে বেড়ান আম্বিয়া খাতুন। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনা সত্য। চাঁদপুরের সবচেয়ে প্রবীণ মা আম্বিয়া খাতুন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হারান স্বামীকে। স্বামীর মৃত্যুর পর একাই বড় করেছেন ৬ সন্তানকে।

জীবনের শেষ প্রান্তে অসহায় জীবনযাপন করছেন তিনি। পারিবারিক সচ্ছলতা না থাকায় কোনো রকমে বেঁচে আছেন আম্বিয়া। তাকে বয়স্ক ভাতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে স্বামীকে হারিয়েছেন হাজীগঞ্জের দোয়ালিয়া গ্রামের আম্বিয়া খাতুন। কিন্তু জীবনযুদ্ধে হেরে যাননি তিনি। ২ ছেলে ও ৪ মেয়েকে বড় করতে গিয়ে দুই দায়িত্বই পালন করেছেন একা। হারিয়েছেন ৫ সন্তানকেও।

বর্তমানে ৮৫ বছর বয়সী সর্বকনিষ্ঠ ছেলে নুরুল এখণ শয্যাশায়ী। তবে নিজে শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। কিন্তু আর্থিক টানাপোড়েনে কোনোভাবে বেঁচে আছেন এ বৃদ্ধা মা।

অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে তার দিন। সবকিছু আগের মত আর মনে করতে পারেন না তিনি। বাবা ও স্বামীর ফেলে আসা অনেক স্মৃতি আজও তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে।

বৃদ্ধা আম্বিয়া খাতুন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমার বাবা হজ করতে গিয়ে মারা যান। পরে সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ মা। এ অবস্থায় তাকে বয়স্ক ভাতা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। নিজের মতো করে তিনি এখনো খাওয়া দাওয়া করতে পারেন। নিজে নিজেই চলাফেরা করেন। তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতার দাবি জানাই আমরা।

হাজীগঞ্জ সদর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রহমান মজুমদার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ২০০৭ সালে যখন জন্মনিবন্ধন শুরু হয় তখন আমরা দেখেছি, তার বয়স ১শ’ ৩৫ বছর। আমি মনে করি, তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ মা।

আম্বিয়া খাতুনের জন্ম ১৮৮০ সালে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন চাচাতো ভাই জিতু মুন্সীর সঙ্গে।

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ডিএইচ/২০১৫

Share