নিজস্ব প্রতিবেদক || আপডেট: ০৮:২৮ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৫, শনিবার
চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার চরভৈরবীতে প্রতিরাতে লাখ লাখ টাকার জমজমাট জুয়ার আসর চলছে। হাইমচর উপজেলার পার্শ্ববর্তী থানা ও জেলার জুয়ারীরা চরভৈরবীর বিভিন্ন স্পটে সন্ধ্যা রাত হতে ভোর রাত পর্যন্ত একটানা জুয়ার কোট বসিয়ে বাড়িয়ে তুলছে অপরাধ।
চরভৈরবী মাছ ঘাটে জুয়ার আসর বসা নিয়ে হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়ালী উল্যাহ অলি নিষেধাজ্ঞা সত্বেও অমান্য করে চলছে এ জুয়ার আসর। জমজমাট জুয়ার আসরের ফলে ওই এলাকার যুবসমাজ দিনে দিনে জুয়ার দিকে আসক্ত হচ্ছে। যার ফলে চরভৈরবী এলাকার যুবকরা সমাজের নানা অসামাজিক অপরাধগুলো করার জন্যে উৎসাহী হচ্ছে। জুয়ার টাকার জন্যে যুবকরা বাবা মায়ের উপর হামলা, চুরি, ডাকাতির মত ঘটনায় লিপ্ত হচ্ছে।
১ অক্টোবর রাত ১২টার সময় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যুবদল নেতা সুলতান হাওলাদারের আড়তের ঘরে আট জুয়ারী জুয়া খেলায় ব্যস্ত রয়েছেন। জুয়াড়িরা সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘরের বেড়া ভেঙ্গে করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চরভৈরবী বাজারের মাছ ঘাটের নাইট গার্ড নুরুল ইসলাম ও ইয়াজল জানান, এখানে দৈনিক জুয়া খেলা হলেও ওদের ভয়ে আমরা কিছুই বলতে পারিনি। বলতে গেলে আমাদের ছেলে সন্তান মারার হুমকি দেন। তাই আমরা দেখেও না দেখার মত করে থাকি।
এ ব্যাপারে চরভৈরবী মাছ ঘাটের আড়ত সমিতির আহ্বায়ক হাজী জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব বেপারী জানান এদেরকে হাজারো বারণ করা সত্ত্বেও খেলা বন্ধ করছে না। হাইমচর থানার প্রশাসন রেডএলার্ট দিলেও এরা কর্ণপাত করেনি।
জুয়ার আসরের ঘরের মালিক সুলতান হাওলাদার বলেন, ভাই কি করবো লোকজন একটু দুষ্টামী করে অবসর সময় কাটায়। বারণ করা সত্ত্বেও এরা এখানে খেলা বন্ধ করছে না।
এ ব্যাপারে এলাকার লোকজন জানান, চরভৈরবী মাছ ঘাট ছাড়াও আমতলী, প্রভাবশালী নেতার ক্লাবঘরে এ জুয়ার আসর বসে। মানা করা সত্ত্বেওও ক্ষমতার দাপটে কর্ণপাত করছেন না।
হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়ালি উল্লাহ অলি বলেন, ঘটনাস্থলে জুয়াড়িদের উপযুক্ত প্রমাণসহ পাওয়া গেলে তাদের আইনের প্রক্রিয়ায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫