দীর্ঘ আট বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (০১ এপ্রিল) চাঁদপুরে পৌঁছেছেন। সকাল ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে হাইমচরে পৌঁছান। সেখানে সকাল ১১টায় বাংলাদেশ স্কাউটসের ষষ্ঠ জাতীয় কমডেকার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকের শিশুরাই আগামি দিনের কর্ণধার। তারাই এদেশে মুক্তিযোদ্ধার চেতনা সমন্নুত রাখবে। রোবটবৃন্দের সেবাধর্মী কার্যক্রম আমি চাই আরো বৃদ্ধি পাক। সকল পর্যায়ে স্কাউটের কার্যক্রম স্কুলসহ একাধিক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়ে আরো সম্প্রসারণ করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুটি করে কাব স্কাউট, স্কাউটর, রোভার স্কাউট ও মেয়ের প্রতিষ্ঠানে গার্ল ইন স্কাউট চালু করতে আমি অনুরোধ করছি। এর জন্যে যা যা করা দরকার সব ধরনের সহায়তা আমরা দিবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ স্কাউটকে আমরা সহায়তা করে যাচ্ছি এবং আরো আমরা করে যাবো। প্রতিটি জেলায় স্কাউটিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ, উন্নয়ন ও মনিটরিংয়ের জন্যে অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।’
এজন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্যে তিনি আহবান জানান।
আর বিকেল ৩টায় যোগ দেবেন চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায়। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে চাঁদপুরে সাজসাজ রব বিরাজ করছে।
তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড দিয়ে সড়ক সাজিয়েছেন আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ নেতা-কর্মীরা। চাঁদপুর শহর থেকে হাইমচর পর্যন্ত রাস্তাঘাট সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নও করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকেও আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। ছোট ছোট মিছিলে নিয়ে শহরে প্রবেশ করছেন তারা।
শহরের ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়ক, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়ক, শহরের নতুন বাজার ও পুরান বাজার সড়ক দিয়ে নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
এদিকে এ সফরে চাঁদপুরে ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে পুরো শহরজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন মোড় অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।