হাইমচরে শ্যালিকা হত্যা মামলার আসামী ঢাকা থেকে গ্রেফতার

চাঁদপুর জেলার হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নের ঈশাণবালা গ্রামের আলোচিত ৮বছরের শিশু খাদিজা হত্যা মামলার ঘাতক জামালউদ্দিন পাঠানকে ঢাকা গাজীপুর জেলা চক্রবর্তী এলাকা থেকে দীর্ঘ ৬মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর হাইমচর থানার এ এসআই আনোয়ার হোসেন ও নীল কমল নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ হান্নান ও পুলিশ মোঃ পিয়ারুল সহ যৌথ অভিযানে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয় ।

১৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হাইমচরের ঈশানবালার মোঃ আলমগীর মিয়ার শিশু কন্যা খাদিজার হত্যাকারী চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মুন্সি কান্দির মৃত জম্মত পাঠানের ছেলে জামালকে ঢাকার গাজীপুর থেকে শিশু হত্যার অপরাধে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের আলমগীরের বড় মেয়েকে চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মৃত জুম্মত পাঠানের ছেলে জামাল উদ্দিন পাঠানের সাথে বিবাহ দেন। বিবাহ সূত্রে জামাল মিয়া শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর বিভিন্নভাবে অপমান ও গালমন্দ করলে মান অভিমানে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ৮বছরের শিশু শালিকা খাদিজাকে মধ্য রাতে পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই জামাল মিয়া ঢাকায় আত্মগোপন করে থাকায় পুলিশের পক্ষে আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশু খাদিজার বাবা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে হাইমচর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

এ ব্যাপারে হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়ালি উল্লাহ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আসামীর জবানবন্দি অনুযায়ী পারিবারিক কলহের জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে শিশু খাদিজাকে নিজের হাতে গলাটিপে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়ে ঢাকায় চলে যায়। আমরা হত্যার পর থেকে আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য কঠোর ভূমিকা রাখলে সঠিক লোকেশন না পাওয়ায় আটক করতে পারিনি। তারপরও চেষ্টা ও সোর্সদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আসামীকে ঢাকার গাজীপুর থেকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও জানান, আসামী এতোটা চালাক যে, যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি। যার ফলে তাকে আটক করতে আমাদের কঠোর প্রহর পোহাতে হয়েছে।

বি এম ইসমাইল, হাইমচর করেসপন্ডেন্ট

|| আপডেট: ০৯:২২ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬, বৃহস্পতিবার

এমআরআর  

Share