পরীক্ষার নম্বর নিয়ে মেহেরুন্নেছা বিথী ( ১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীকে এক থাপ্পরে অচেতন করলেন শিক্ষক জয়ন্ত মজুমদার । গতকাল(১৭ জুলাই) বিকেলে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার বাজপ্তি রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই আহত স্কুলছাত্রী মেহেরুন্নেছাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে ওই উপজেলার নয়ানী লক্ষীপুর গ্রামের মোস্তফা কামাল দেওয়ানের মেয়ে এবং ওই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
আহত স্কুলছাত্রী মেহেরুন্নেছা জানায়, সে কিছুদিন পূর্বে বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়ন্ত বাবুর কাছে পরীক্ষার নৈবিত্তিক দিতে যায়। একই প্রশ্ন এবং পরীক্ষার জন্য শিক্ষক জয়ন্ত মজুমদার বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীকে ২৫ নম্বর দেন। কিন্তু মেহেরুন্নেছাকে ওই বিষয়ে নম্বর কম দেয়ায়, সে শিক্ষককে প্রশ্ন করে বলেছিলেন, যাকে আপনি পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তরের জন্য ২৫ নম্বর দিয়েছেন আমিও তো তার মতোই সকল উত্তর দিয়েছি। কিন্তু স্যার আমাকে নম্বর কম দিলেন কেনো।
এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষক জয়ন্ত বাবু তারটা হয়নি বলে কথা এরিয়ে যান। মেহেরুন্নেছা জানায়, তার কয়েক মিনিটের মধ্যে শিক্ষক হঠাৎ কার কথা শুনতে পেয়ে ফিরে এসে তার গালে স্বজোরে এক থাপ্পর মারেন। থাপ্পরের আঘাত এতটাই শক্তিশালী ছিলো যে, ওই শিক্ষককের হাতের ঘড়িটা পর্যন্ত ভেঙ্গে যায় বলে সে জানায়। আর এমন প্রচন্ড আঘাতে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত তার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। শিক্ষকের এমন আচরনে সে মানসিক রোগীর মতো ক্ষনে ক্ষেন আতকে উঠতে দেখাযায়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান বলেন, আমি তখন অন্যক্লাসে ছিলাম। হঠাৎ জয়ন্তবাবু গিয়ে বলেন, যে স্যার একটু সমস্যা হয়েছে। আমি একটা মেয়েকে থাপ্পর দিয়েছিলাম এখন সে যেনো কেমন করছে। তখন আমি সাথে সাথে তার চিকিৎসার জন্য প্রথমে হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানোর পর, পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
এ ব্যাপরে অভিযুক্ত শিক্ষক জয়ন্ত মজুমদারের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur