চাঁদপুর হাইমচরে মহজমপুরে সরকারী রিফিউজি জমি দখল করে স্থায়ী ভাবে বিল্ডিং করে দোকান নির্মাণ অভিযোগ উঠেছে। রিফিউজি বাসীর অভিযোগ প্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি হাইমচর উপজেলা ভূমি কমিশনার সরকারী জমি দখল করে দোকান নির্মাণের বন্ধ করে দেওয়ার পর শুক্রবার পুনরায় দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতার নেতৃত্বে কাজ করে দখলবাজ জসিম উদ্দিন গাজী ।
এ নিয়ে স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম চাঁদপুর জেলা প্রশাসন কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান,কাছে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি হাইমচর উপজেলা ভূমি কমিশনার কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। হাইমচর উপজেলা ভূমি কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন তাৎক্ষণিক জমি দখলবাজ জসিম উদ্দিনকে মুঠোফোনে কল করে কাজটি বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিলে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ৩ ফেব্রুয়ারি রিফিউজি বাসিন্দারা ও দখলবাজ জসিম উদ্দিনকে উপজেলা ভূমি কমিশনারের কার্যালয় কথা বলা বলার জন্য গেলে এতে ভূমি কমিশনার উভয়পক্ষকে বলেন বিষয়টি সমাধান না হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ জমিতে দোকান নির্মাণের কাজ না করার জন্য নির্দেশ দেন। যার প্রেক্ষিতে করে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করলে দোকান নির্মাণের কাজটি দৃশ্যমান দেখতে পায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান স্থানীয় প্রবাসী তাজুল ইসলামের হাইমচর থানা পুলিশ সব আমার হাতে মুঠে। ভয় পাওয়া কিছুই নাই। ঠিক তার ৮দিন পরে গতকাল শুক্রবার জমিতে দোকান দোকান পুনঃনির্মাণের জন্য আবার কাজ শুরু করা হয়।
পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করা হলে রিফিউজি বাসিন্দা জেলা প্রসাশক মাজেদুর রহমান খানের সাথে মুঠোফোন জানালে, তিনি বলেন ফোনে এগুলো সমাধান করা যাবে না।
এ ব্যাপারে সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার জাহিদ পারভেজ সাথে মুঠোফোনে জানালে, তিনি বলেন অনেক ব্যস্ত আছি। যদি অনিয়ম করে দোকান নির্মাণ করা হয় তাহলে পরে তা ভেঙ্গে ফেলা হবে। এব্যাপারে হাইমচর উপজেলা ভূমি কমিশনারকে জানানো হলে তিনি বলেন, আমি থানায় বলে দিতেছি কাজ বন্ধ করার জন্য। আপনার থানায় যান। কিন্তু কলোনি বাসিরা থানায় গিয়েও নিরুপায় হয়ে ফিরে আসেন।
পরে ৯৯৯ কল দেওয়া পর পুলিশ যাওয়া সাথে সাথে দোকান নির্মাণের শ্রমিক সবাই পালিয়ে যায়। পুলিশ যাওয়ার পর আবার পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবার তারা দোকান নির্মাণের কাজ চলতে থাকে।
রিভিউজ এর বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তান সরকার এত আমল থেকেই আমরা এখানে ৪০ টি পরিবার বসবাস করে আসছি আমাদের ১ একক ৪০শতাংশ জমিতে।দেশ স্বাধীনের পর জাতীয় জনক বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকা অবস্থায় ১৯৯৫ সালে আমাদেরকে এই জমিতে আমাদের নামে করে সরকার থাকতে দিয়েছে।আমরা বিভিন্ন সময় এলাকায় প্রভাবশালীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় প্রভাবশালী মহল আমাদের একটি অংশ জায়গা দখল করে সেখানে জমি নির্মাণ করা হয়েছে।
আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওআমাদের চাঁদপুর হাইমচরের মাটি ও মানুষের নেত্রী শিক্ষামন্ত্রী ডাঃদীপু মনি সহ প্রশাসনের সবার প্রতি অনুরোধ রইল অবিলম্বে ভূমিদস্যুদের হাত থেকে জমি উদ্ধার করে শান্তিতে থাকার সুযোগ দিন।আমরা নিরাপত্তা হিনতায় আছি।যেখানে আমাদের কবর দেওয়ার কোন জায়গা নাই,অথচ সেখানে জমি দখন করে দোকান নিমান করতেছে। আমরা সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।