চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নের পাড়া বগুলা গ্রামে মাসুদ করিম আজাদ নামে এক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধান করতে পাড়া বগুলা গ্রামে মাসুদ করিমের এলাকায় গেলে মাসুদ করিম জানান, ২০০২ সালে হাইমচর নতুন বাজার এলাকার মৃত হাবিবুল্লাহ মাঝির মেয়ে (পরবর্তীতে দত্তক পিতা হিসেবে পরিচিত আলী আহমদ হাওলাদারের মেয়ে) হাসিনা মমতাজের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ভালোভাবেই তাদের দাম্পত্য জীবন চলে আসছিল। দাম্পত্য জীবনে এক কন্যা এবং এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ২০১৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি চাকুরি পাওয়ায় অতি আধুনিকতায় প্রবেশ করে স্ত্রী মমতাজ স্বামীকে ভুলে স্বামীর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। যাতে স্বামী মাসুদ অতিষ্ঠ হয়ে মমতাজকে বিদায় করে দেয়। কিন্তু মাসুদ তার সকল অত্যাচার নীরবে সহ্য করলেও মমতাজ আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। কোনো পথ না পেয়ে একপর্যায়ে মমতাজ মাসুদ করিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় সাড়ে ৩মাস জেলে খাটায়।
তারপর সামাজিক সালিস বৈঠকের মাধ্যমে উভয় পরিবারের সম্মতিতে আবারও তাদের পারিবারিক জীবন শুরু হয় কিন্তু মমতাজ আরও বেপেরোয়া হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায় এবং সেখানেই তার বাবার বাড়ির পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে।
জানা যায়, এখনো বিভিন্নভাবে মাসুদ করিমকে হত্যার চেষ্টায় তার বাড়িতে লোক পাঠানোর চেষ্টা রয়েছে। মমতাজের ভাই তাকে বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। মাসুদ বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মমতাজের মা জানান, মাসুদ তার মেয়েকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করেছে। তাই তার মমতাজের ভাইয়েরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট করার জন্যে গিয়েছিল কিন্তু তাকে বাড়িতে পায়নি।
অভিযুক্ত মমতাজ জানায়, তার স্বামী প্রায়ই বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো। তাই বাবার বাড়ি চলে এসেছে। সে তার অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্যে ইতোপূর্বে মামলা করেছে।
হাইমচর করেসপন্ডেন্ট
|| আপডেট: ০৭:২৯ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার
এমআরআর