হাইমচরে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ : ফসলী ধান বিনষ্ট

‎Monday, ‎06 ‎April, ‎2015  07:34:57 PM

বি এম ইসমাইল :
হাইমচর উপজেলার ২নং আলগী (উত্তর) ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের কৃষি জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের করায় ফসলী ধান বিনষ্ট হচ্ছে। ধান বিনষ্ট হওয়ায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা।

জানা যায়, কমলাপুর গ্রামের হতদরিদ্র বর্গাচাষী অলি আখনের ৩২শতাংশ জমি কমলাপুর দেওয়ান বাড়ির প্রদীপ দাস দেওয়ান কাছ থেকে ধানচাষের জন্য জমি বর্গা নেন। বর্গা চাষী অলি মিয়া আখন ফসলের পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য বাজার থেকে কীটনাশক বার্মার, ক্রীজল ঔষধ ধান ক্ষেতে দিলে পরের দিন সকালে জমিতে গিয়ে দেখতে পায় তার সমস্ত ধান জ্বলে গেছে।

এ ব্যাপারে অলি মিয়া উপজেলা কৃষি অফিসে জানালে কর্মরত অফিসাররা ধানক্ষেতটি প্রাথমিক পরিদর্শন করেন।

গত ০৬ এপ্রিল উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক ধান বিশেষজ্ঞ একটি টিম ওই ধান ক্ষেতটি পরিদর্শন করে। কুমিল্লা ধান গবেষণা ইনস্টিটিউশনের ধান বিষয়ক বৈজ্ঞানিক ডাঃ মোঃ সেলিম জানান, ধান ক্ষেতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে ধান নষ্ট হয়েছে।

এ সময় পরিদর্শন দলে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন, কৃষি সম্পসার অফিসার কায়ছুম রাফাত হাওলাদার, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান, উদ্ভিদবিদ হরি মহাজন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোঃ অলি আখন জানান, ক্ষেতে আমি পরিমাণমত ঔষধ প্রয়োগ করি। কেউ শত্রুতার জেরধরে আমার জমিতে অতিরিক্ত ঔষধ প্রয়োগ করেছে।

কৃষক অলি মিয়া আখন প্রদীপ কুমার দাস দেওয়ানের বড় ভাই অজিত কুমার দাস দেওয়ানের ওপর ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, তিনি আমাকে ফসল কীভাবে তুলে নিবি এই হুমকি দিয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, আমি অনেক পরিশ্রম করে ধার দেনা করে ধান চাষ করি আমার প্রায় ১৫হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ধার দেনার ফলে আমি বর্তমানে পথে বসে পড়েছি। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/বিএমআই/২০১৫

Share