দক্ষিণা বাতাসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে হাইমচরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ অস্থায়ী বাঁধের দুটি স্থান ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়ে পড়ছে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকা। প্রচন্ড গতিতে মেঘনা নদীর পানি সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে।
চাঁদপুর জেলা শহরেও বেশ কিছু এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত। লঞ্চঘাটের মাঠটিতে ওঠেছে প্রায় হাঁটু পানি। আরও পড়ুন… মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপরে : জোয়ারে চাঁদপুর শহর প্লাবিত
চাঁদপুর জেলা সদরের কিয়দংশ, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা নিয়ে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের অবস্থান। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় কয়েক হাজার একর জমির ফসল এখন হুমকির মুখে।
অস্থায়ী বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন । এ অবস্থায় কি করনীয় তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে তারা যোগাযোগ করছেন।
পূর্ণিমার প্রভাব দু ‘দিন আগে কেটে গেলেও হঠাৎ বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণা বাতাস বইতে থাকে। ফুলে-ফেঁপে ওঠে চাঁদপুর মেঘনা।
বিকেলে জোয়ার শুরু হলে পানি বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় হাইমচর উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়নের মহজমপুর এবং চর ভাঙ্গা এলাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে অস্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।
এসময়ে প্রচন্ড গতিতে সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে মেঘনা নদী থেকে পানি প্রবেশ করতে থাকে।
এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। উপায়ন্তর না পেয়ে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের খবর দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান,আকষ্মিক এবং অস্বাভাবিক জোয়ারের ফলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাইমচর মহজমপুর, চরভাঙ্গা স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে সেচ প্রকল্প এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। ভাঙ্গন এলাকা বাঁধ নির্মাণে আমরা জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
এদিকে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি চাঁদপুর শহরে প্রবেশ করেছে। চাঁদপুর লঞ্চঘাট হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের পুরান বাজার, নতুন বাজার, মাদ্রাসা রোড, কোড়ালিয়া রোড, বঙ্গবন্ধু সড়ক, প্রফেসরপাড়াসহ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ঘর বাড়ি, ফসলি, জমি, মাছের ঘের, ঝিল, পুকুর, ঘর-বাড়ি, হাট -বাজার এবং বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হয়েছে। সব মিলিয়ে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি স্থায়ী হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
প্রতিবেদক:আবদুল গনি, ৫ জুলাই ২০২০