চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার পূর্বচর কৃষ্ণপুর গ্রামের আমিন উল্যা আখনের ছেলে প্রবাসী আক্তার আখনকে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ করেছেন স্ত্রী মাজেদা বেগম (ডলি)।
প্রবাসী আক্তার হোসেন র্দীঘ বিশ বছর কাতারে কর্মজীবন পার করেছে। এরেই মাঝে আক্তার আখন দেশে এসে দক্ষিন আলগী গ্রামের মাজেদা বেগম ওরপে ডলির সাথে বিবাহ আবদ্ধ হন। তাদের বিয়ের আট বছর পূর্ণ হয়েছে এবং দু’টো ছেলে সন্তান রয়েছে।
৫ বছর বয়সের আরাফাত ও ২ বছরের ফরহাদ আর কখনো বাবা ডাকতে পারবে এমন জ্ঞান তাদের মাঝে নেই। নিহত আক্তারের স্ত্রী মাজেদা বেগম তার স্বামীকে হারিয়ে পাগলপ্রায়।
আক্তার কাতার থেকে দেশে ফিরে এসে বাবা মার কাছে তার টাকা পয়সার হিসাব চাইলে পরিবারের ঝগড়া ও মারামারি শুরু হয় । গত ৩০ মে রাতে আক্তারের সাথে তার ছোট শাহপরান ও তার বাবা মায়ের সাথে ঝগড়া হয়। পরের দিস সকাল ৭ টায় তাদের ঘরের ১০ হাত দূরে ঝুলন্ত অবস্থায় আক্তারের লাশ তার বাবা আমিনউল্লা আখনের চোখে পড়ে।
এ ব্যাপারে নিহত আক্তারের স্ত্রী মাজেদা জানান ওই দিন সকাল ৭টায় তার শাশুড়ি তফুরেন নেছা মুঠোফোনে জাানান তার স্বামী প্রবাসী আক্তার ঘরের মিটার ও বাড়ি ঘরের দেয়াল ভাংচুর করেছে।
স্ত্রী মাজেদর অভিযোগ তার শাশুড়ি তফুরেন নেছা, জা ববিতা বেগম, দেবর শাহ পরান তার স্বামীকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে এবং তাকে মিথ্যা সংবাদ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত আক্তারের ছোট ভাই শাহ পরান জানান আমার ভাই আমার মাকে মারধর করলে আমি বাড়ীতে এসে ভাইকে বুঝালে সে চলে যায়। আমি তাকে আগামীকালে বসে মিমাংসা করবো বলে জানিয়েছি। সকালে উঠে দেখি আমার ভাইয়ের বাড়ির পাশে পাশ দিয়ে গাছের সাথে ঝুলে আছে।
এলাকাবাসী ও নিহত আক্তারের স্ত্রী মাজেদা বেগম ডলির পরিবারের দাবী শাহ পরানকে আইনের আওয়াতায় এনে জিজ্ঞাসা করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
বিএম ইসমাইল
২ জুন ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur