হাইমচরে পাশের হারে চমক দেখালেন জামিলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানটির জামিলা ২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৫.৮৫%। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার খুব কম সময়ের মধ্যেই সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে হাইমচরের শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
হাইমচরে ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮৩৮ জন শিক্ষার্থী কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। অংশগ্রহণকৃত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৯১ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছেন । পাশের হার হয়েছে ৮২.৪৬%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫২ জন।
১০টি মাদ্রাসার ৩২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে পাস করেছেন ২৬৮ জন। পাসের হার হয়েছে ৮৩.২৩%।
কারিগরি শাখায় ২০৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৯২ জন পাস হয়েছেন, পাশের হার ৯৪.১২%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮ জন।
মাধ্যমিক পর্যায়ে দূর্গাপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮৮জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৭৭জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। পাশের হার ৮৭.৫০%
। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮ জন শিক্ষার্থী। যা জেনারেল শাখায় উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ।
বাজাপ্তী রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১১ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছে ৮৭ জন। পাসের হার ৭৮. ৩৮%। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬ জন।
চরভৈরবী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কৃতকার্য হয়েছে ৩৩ জন। পাসের হার ৮৪.৬২%। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩ জন।
চরভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে কৃতকার্য হয়েছেন ৬৪ জন। পাশের হার ৯৪.১২%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। ঈশানবালা মালেরহাট যুবসংঘ উচ্চ বিদ্যালয় ৫২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে পাস করেছেন ৩৭ জন। পাসের হার ৭১.১৫%। গন্ডামারা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ৮৯ জন কৃতকার্য হয়েছেন। পাসের হার ৯৩.৬৮%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ জন। হাইমচর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৩২ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৬৬.৬৭%। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩ জন।
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৪৩ জন কৃতকার্য হয়েছেন। পাসের হার ৭৬.৭৯%। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬ জন। কেভিএন উচ্চবিদ্যালয়ে ৭৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে পাস করেন ৫১ জন। পাসের হার ৬৮%। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২ জন। এমজেএস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে ৩৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৩১ জন কৃতকার্য হয়েছেন। পাসের হার ৯৩.৯৪%। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ জন।
মোয়াজ্জেম হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৬জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে পাস করেছেন ৩১ জন। পাসের হার ৮৬.১১%। নীলকমল ওচমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ১২১জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে পাস করেছেন ১১০ জন। পাসের হার ৯০.৯১%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭ জন। আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুল থেকে ১৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন ৬ জন। পাশের হার ৩৭.৫০%।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে
জামিলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৫.৮৫%।
ফারুক-ই-আজম (রাঃ) আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৫.২৪%। গাউছুল আজম এস. দাখিল মাদ্রাসার ৩৬ শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে পাস করেছে ৩০ জন। পাসের হার ৮৩.৩৩% চরভাঙ্গা ডিএস দাখিল মাদ্রাসায় ২৯ শিক্ষার্থীর ১৭ জন পাস করেছে। পাসের হার ৫৮.৬২%।
চরভৈরবী আজিজিয়া আজহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৪৭.৩৭%। আল-আমিন আদর্শ মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় ৪৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩৬ জন পাসের হার ৮৩.৭২%। গন্ডামারা এবিএস ফাযিল মাদ্রাসার ৫৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৫০ জন। পাশের হার ৯৪.৩৩%। আলগীবাজার আলিম সিনিয়র মাদ্রাসায় ৫০ শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে ৪৪ জন পাস করেছে। পাসের হার ৮৮%। কাটাখালী হামিদিয়া আলিম মাদরাসা ২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২৭ জন। পাসের হার ৯৩.১০%।কমলাপুর দাখিল মাদরাসা ১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জনই পাস করেছেন। পাসের হার ৬৮.৪২%।
ভোকেশনাল শাখায় চরভৈরবী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৮ জন পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয়েছেন ৮৫ জন। পাশের হার ৯৬.৫৯%। জিপিএ -৫ পেয়েছেন ৪ জন।
দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে ২০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৭ পাস করেছেন। পাশের হার ৮৫%। কোনো জিপিএ নেই।এমজেএস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৬ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৪ জন পাস করেছেন। পাশের হার ৯৬.৪৩%। জিপিএ -৫ পেয়েছেন ২ জন।
নীলকমল উসমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৩৬ জন। পাশের হার ৯০%। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ জন।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ১২ মে ২০২৪