Home / উপজেলা সংবাদ / হাইমচরে পরকীয়া প্রেমের টানে ৩ সন্তানের জননী দেবরের ঘরে

হাইমচরে পরকীয়া প্রেমের টানে ৩ সন্তানের জননী দেবরের ঘরে

‎Thursday, ‎30 ‎April, ‎2015  02:47:39 PM

বিশেষ প্রতিনিধি :

চাঁদপুর জেলার হাইমচরে তিন সন্তানের জননী পরকীয়া প্রেমের টানে স্বামীর সংসার ছেড়ে দেবরের সাথে নতুন সংসার গড়ার খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায় চরভাংঙ্গা গ্রামের জয়নাল মেম্বারের মেয়ে তাছলিমা বেগমের (৩২) সাথে উত্তর আলগী গ্রামের মো: হোসেন কাজীর ছেলে মো: জহির কাজীর সাথে ১৫/০৫/১৯৯৮ তারিখে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক এক লাখ টাকা কাবিন মূলে বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাসলিমার তিনজন পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তানবীর হোসেন (১৩), তাহসিন হোসেন (০৭) এবং তাহমিম হোসেন (০৫)।

এই তিন সন্তানকে রেখে তাসলিমা তার দেবর মো: হাবীব কাজীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে শেষ পর্যন্ত সংসার ত্যাগ করে জহিরকে ছেড়ে চলে যায়।

এ ব্যাপারে জহির সাংবাদিকদের জানান যে, তার মা অসুস্থ হওয়ার কারনে চাঁদপুরে চিকিৎসার জন্য মাকে হাবীবের বাসায় রাখা হয় এবং মায়ের সেবা করার জন্য তাছলিমাকে মায়ের সাথে ভাই হাবীবের বাসায় থাকতেন। এই সুযোগে হাবীব তার ভাই এবং ভাতিজাদের কথা না ভেবে তাছলিমার সাথে সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

জহির আরো জানান, লোক মুখে শুনেছি গত ২৮/১০/২০১৪ তারিখে তাছলিমা নাকি আমাকে তালাক দিয়ে হাবীবকে বিয়ে করেছে। আমি ঢাকা খদ্দর মার্কেটে কাপড় ব্যবসায়ী ছিলাম, আয় রোজগারের এবং দোকান কিক্রি করে প্রায় সাত থেকে আট লাখ টাকা তাছলিমাকে বিশ্বাস করে তার কাছে রেখে ছিলাম। আমার টাকা দিয়েই হাবীব দালান করে চাঁদপুরে বেগম মসজিদের উত্তর গলি বিশ্বনাথের বাড়ির পরে উত্তর পার্শ্বে দ্বিতীয় থাকে এবং তৃতীয় ছেলে তাহমিম হোসেন চাঁদপুর কদমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে।

এই ব্যাপারে তাছলিমার বড় ছেলে তানবীর হোসেন বলেন আমার মায়ের মতো কিছু নারীদের কারণে নারীসমাজ আজ অনেকাংশে অপমানিত। আমি আল্লহার কাছে বলি আমার মতো আর যেন কোন ছেলের কপালে এত কম বয়সে কলংকের দাগ না পড়ে।

এ সম্পর্কে তাছলিমার বাবার কাছে জানতে চাইলে তার বাবা জয়নাল মেম্বার বলেন, এই ব্যাপার নিয়ে বহু দেন-দরবার হয়েছে, আমার মেয়ে জহিরকে তালাক দিয়ে তার ভাই হাবীবের সংসার করছে।

জহির আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে তার সন্তানদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তার লম্পট ভাই হাবীবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন।

এমআরআর/ডিএইচ/এসআই/২০১৫

নিয়মিত আপনার ফেসবুকে নিউজ পেতে ক্লিক করে লাইক দিন :

https://www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes