Home / উপজেলা সংবাদ / হাইমচর / ৪ ঘণ্টা ঘাট থেকে লঞ্চ সরিয়ে রাখলো মাস্টাররা
Launch ghat
ফাইল ছবি

৪ ঘণ্টা ঘাট থেকে লঞ্চ সরিয়ে রাখলো মাস্টাররা

অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিইউটিএ) একটি মামলায় লঞ্চ মাস্টারের জামিনের খবরে সদরঘাট পন্টুনে লঞ্চ ভেড়াতে শুরু করেছেন মাস্টাররা।
এমভি আওলাদ-৭ নামের ওই লঞ্চ মাস্টারকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে লঞ্চগুলো সরিয়ে রাখা হয়।

পরে বেলা আড়াইটায় লঞ্চের মাস্টার ইসরাফিলের জামিন পাওয়ার সাংবাদে খালি পন্টুনে লঞ্চগুলো ভিড়তে শুরু করেছে।

বিআইডব্লিইউটিএর যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকমকে বলেন, “পটুয়াখালী রুটের এমভি আওলাদ-৭ এর মাস্টার ইসরাফিল ২৯ অগাস্ট একটি মামলায় আদালতে হাজির হতে গেলে তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সকাল ১০টার দিকে পন্টুন থেকে লঞ্চগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।

“দুপুর আড়াইটার দিকে সকালে সরিয়ে নেওয়া লঞ্চগুলো আবার সদরঘাটে ভিড়তে শুরু করেছে। যে জটিলতা দেখা গিয়েছিল এখন আর কোনো সমস্যা নাই। বিকালে সব রুটের লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাবে।

“সরিয়ে নেওয়া যানগুলো বিকেলে বরিশাল, ভোলা পটুয়াখালী যাওয়ার কথা রয়েছে। সদরঘাট থেকে চাঁদপুরগামী যানগুলো যাতায়াত করছে।”

এমভি আওলাদ লঞ্চের মালিক আওলাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক বছর আগে ফতুল্লায় লঞ্চটি একটি বাল্কহেডকে ধাক্কা দেয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি মিটমাট করিয়ে দেন। তারপরেও বিআইডব্লিইউটিএ মামলা দেয়। ওই মামলায় ইসরাফিলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।”

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, সহকর্মীর জামিনের সংবাদ পাওয়ার পর মাস্টাররা সরিয়ে নেওয়া লঞ্চগুলো সদরঘাটে আনতে শুরু করেছে।

করেসপন্ডেন্ট