হাইমচরের গাজিপুর ইউনিয়নে একতরফা নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১০।
৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হাইমচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নির্বাচনে গাজিপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩জন , সাধারণ সদস্য পদে একাধিক ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বদ্বিতা করেন।
নির্বাচনে ৩ জন মেম্বার প্রার্থী ও ১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতিকে কোনো ভোট না পরায় একতরফা নির্বাচনের অভিযোগ করে আ’লীগ দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ শফিউল্লাহ মন্টু পেদা ও বিএনপি দলীয় প্রার্থী ইসমাইল গাজিসহ ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ১৩জন মেম্বার প্রার্থী পৃথক পৃথক ভাবে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন।
একই সাথে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। মহাম্ান্য হাইকোর্টের আদেশে নির্বাচন কমিশন উক্ত ইউনিয়নের বেসরকারি ঘোষিত ফলাফলের গেজেট প্রকাশ থেকে বিরত থাকেন।
নির্বাচন কমিশন অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের আদেশ দেন। অনুযায়ী ১০ মে সকাল ১০টায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বিভোর কুমার বিশ্বাস তদন্ত কাজ শুরু করেন।
হাইমচর উপজেলা নির্বাচন কমকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত তদন্তে অভিযোগকারী ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৮ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া বিবাদীদের কাছেও মৌখিক তথ্য সংগ্রহ করেন। বিকেল অনুমান ৪টায় তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করার জন্য আহ্বান জানালে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান গাজি সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন।
এসময় সংবাদ কর্মীরা তার আচরণে বিব্রত বোধ করেন। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে’ সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন “ আপাতত আমার কাছে কিছু বলার নেই। সময় হলেই আপনাদেরকে সব জানানো হবে’’ ।
প্রার্থী শফিউল্লাহ মন্টু পেদা লোকজন নিয়ে বাড়ির উদ্যেশ্যে রওনা করলে হাবু গাজির লোকেরা প্রথমে উপজেলা পরিষদে ও স’মেইলের কাছে তাদের উপর হামলা চালায়
এক পর্যায়ে তারা গাজিপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অভিযোগকারী খাজা আহমেদ তালুকদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং তাকে ও তার ছেলেকে বেদম প্রহার করে।
পরে হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে হাইমচর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
]বি এম ইসমাইল, হাইমচর করেসপন্ডেন্ট [/author]