চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে হাইমচর-চান্দ্রা ৬নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থক ৩ প্রার্থীর কাউকেই দলীয় সমর্থন দেয়া হয়নি।
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনি এমপি হাইমচর উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের সাথে সভায় বলেন প্রতিদ্বন্দি ৩ প্রার্থী আমাদের দলীয় কর্মী। এখানে সবাই যেহুতু দলের লোক তাই আপনারা ভোটাররাই বিচার বিশ্লেষণ করে যাকে নির্বাচিত করবেন আমি তাকেই সাদরে গ্রহণ করবো, আপনাদের রায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধি বিষয়ে আমার কোন আপত্তি থাকবে না, বৈঠকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বক্তব্যটি নিশ্চিত করেছেন উপস্তিত জনপ্রতিনিধিরা।
জেলা পরিষদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর থেকেই হাইমচর- চান্দ্রা ৬নং ওয়ার্ডে ৩ প্রার্থী হাইমচর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা সাংবাদিক খুরশিদ আলম শিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম আল মামুন সুমন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মাকসুদ আলম খান নির্বাচনী প্রচারণার পাশাপাশি দলীয় সমর্থনের জন্য জোর লবিং করেন।
সর্বশেষ নির্বাচনি প্রচারণায় সরগরম হাইমচর-চান্দ্রায় জনপ্রতিনিধিরা দলীয় সমর্থন নয় প্রার্থীদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্বকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে আলোচনা চলছে।
ভোটাদের মাঝে প্রভাব বিস্তার ও পেশি শক্তি, কালো টাকা ও শপথ বাক্য ব্যবহার করে পক্ষে নেয়ার জন্য সকল প্রার্থীর পক্ষেই সরগরম আছেন তাদের সমর্থকরা।
কেউ কেউ নগদ অর্থ, প্রকল্পের আশ্বাস, স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ব্যবহার করেও ভোট চাইছেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থনের বিষয়ে হাইমচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম কবির, ইউপি চেয়ারম্য্যান শাহাদাত সরকার, সালাউদ্দিন সরদার, ইউপি সদস্য বাচ্ছু সরকার, মিন্টু কবিরাজ, কাউসার বেপারী, দেলায়ার মেম্বারসহ একাদিক জনপ্রতিনিধি জানান ২৩ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনির সাথে সভায় সদস্য পদে দলীয় সমর্থন বিষয়ে কোন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হয়নি।
ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন ৩ প্রার্থী সকলে দলের কর্মী তাই ভোটাররা যাকে নির্বাচিত করবে তাকেই আমরা বরণ করে নিব, আপনাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে আমার কোন আপত্তি থাকবেনা।
সর্বশেষ ৩ প্রার্থীর মধ্যে সর্বদলীয় গ্রহণ যোগ্য প্রার্থী হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সাংবাদিক খুরশিদ আলম শিকদারের হাতি মার্কার পক্ষে ভোট চাইছেন উপজেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধাসহ সকল শ্রেনী পেশার ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম আল মামুন সুমনের টিউবওয়েল মার্কার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভ্টো চাইছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শীর্ষস্থানীয় এক বিএনপি নেতাসহ তার সমর্থকরা।
উপজেলা আওযামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মাকসুদ আলম খানের পক্ষে ভোট চাইছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ তার সমর্থকরা।
৩ প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে জেলা পরিষদ নির্বাচন।
সময়ই বলে দিবে কোনটি সফল হবে কালো টাকার শক্তি, পেশি শক্তি নাকি সাধারন ভোটারদের সমর্থন। তবে সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে কালো টাকা ও পেশী শক্তির বিরুদ্ধে নিরাপদ থাকার জন্যই ভোটারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। কেউ কেউ ধারণা করছেন লড়াই হবে তিন প্রার্থীর মধ্যে সমানে সমান।
প্রতিবেদক-বিএম ইসমাইল, হাইমসর ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ১১ : ৫৪ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ শনিবার
এইউ