হাইমচর

হাইমচরে ট্রলারডুবি দু’দিনেও সন্ধান মিলেনি প্রিয়জনদের লাশের

লাশের অপেক্ষায় নদীপাড়ে স্বজনদের আহাজারি

দু’দিনেও সন্ধান মিলেনি চাঁদপুরের হাইমচর মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলারের। যদিও এখনো চলছে উদ্ধার কাজ। নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্যরা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে। নিখোঁজদের খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত চলবে উদ্ধার কার্যক্রম- এমনটি’ই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

এদিকে নিখোঁজদের স্বজনরা তীরে বসে আছে লাশের অপেক্ষায়। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে আছে হাইমচর মেঘনাপাড়। গত দু’দিন ধরে তারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।

ট্রলারের নিখোঁজ যাত্রীর স্বজন শাহআলম বলেন, আমার মেয়ে ও স্ত্রীকে এখনো খুঁজে পাচ্ছি না। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ অন্তঃত লাশগুলো যেনো খুঁজে পাই, যাতে দাফন করার সুযোগ পাই।

এদিকে নিখোঁজদের স্বজনরাও বসে নেই। তারাও প্রশাসনের সাথে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন। কেউ কেউ অপেক্ষা করছেন নদীর তীরে। অন্তত লাশ পাবার আশায়।

চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, নদীতে প্রচ- ¯্রােত এবং ডুবে যাওয়া স্থান নির্দিষ্ট করে বলতে না পারায় উদ্ধার কাজে বিলম্ব হচ্ছে।

সময় যতই গড়াচ্ছে ডুবে যাওয়া ট্রলারের খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হচ্ছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হাইমচরের তেলির মোড় থেকে ঈশানবালা চরের উদ্দেশ্যে রওনা করে মেঘনা নদীর মাঝের চরে তেলবাহী ট্যাংকারের সাথে ধাক্কা লেগে ৬০/৭০জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ‘এমভি রবিন’ নামের ট্রলারটি।

ট্রলারডুবির খবর পেয়ে ত্রাণমন্ত্রী মায়া চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডলসহ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী উদ্ধার হওয়া আহত যাত্রীদের চিকিৎসা বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে অনুদানও প্রদান করেন এবং নিখোঁজ যাত্রী ও ট্রলার উদ্ধারে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

ট্রলার এবং নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ সদস্য ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তৎপরতা শুরু করে। বুধবার উদ্ধার কাজে যোগ দেয় ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নৌবাহিনীর একটি বিশেষ দল।

নিখোঁজ যাত্রী ও ট্রলারের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সরোয়ার কামাল।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট || আপডেট: ০৫:৫৫ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬, বুধবার

এমআরআর  

Share