Home / উপজেলা সংবাদ / হাইমচরে চোরের হোতা শফিক গাজীর বিরুদ্ধে এলাবাসীর বিক্ষোভ

হাইমচরে চোরের হোতা শফিক গাজীর বিরুদ্ধে এলাবাসীর বিক্ষোভ

হাইমচর প্রতিনিধি | আপডেট: ১০:০৫ অপরাহ্ণ, ০৬ আগস্ট ২০১৫, শুক্রবার

হাইমচরে চোরের মূল হোতা শফিক গাজির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে অচিরেই তাকে গ্রেপ্তার করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

৬ আগস্ট রাত ১০ টায় উপজেলা সদর আলগী বাজারে শহীদ এলাহী বক্স বীর বিক্রম এর ছেলে শাহলম পাটওয়ারী ও আলম মিয়াজির নেতৃত্বে এ মিছিল বাহির করা হয়।

মিছিলকারীরা অচিরেই চোরের মূল হোতা উত্তর আলগী গ্রামের সোনা গাজীর ছেলে শফিক গাজীকে গ্রেপ্তার করে এলাকায় চোরের উপদ্রব থেকে রক্ষার দাবি জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শফিক গাজী দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন এলাকা থেকে চোর এনে হাইমচরের বিভিন্ন এলাকায় দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত করে আসছে।

গত ৬ আগস্ট স্থানীয় আলম মিয়াজির মোটর সাইকেলের তালা ভেঙ্গে চুরি করা অবস্থায় হাতেনাতে বিরামপুর এলাকার আরিফ নামের এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চোরের মূল হোতা শফিক গাজির নাম বেরিয়ে আসে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পোচার আগেই চোরের সংগটি একত্রিত হয়ে শফিক গাজির নেতৃত্বে আলম মিয়াজির হাত থেকে আটক চোর আরিফ কে ছিনিয়ে নেয়। এসময় চোর আরিফ আলম মিয়াজির হাত থেকে ছুটে যাওয়ার জন্য ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আলম মিয়াজির হাতে কামড় দিয়ে ছুটে যায়।

এ ছাড়া দুর্ধর্ষ ওই চোর সিন্ডিকেট গতকাল ৭ আগস্ট সকাল বেলা উত্তর আলগীর জাহাঙ্গীর পাটওয়ারীর বাড়িতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিছিলকারিদের বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী শফিক গাজির হাত থেকে সকলের জান মাল রক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ এলাহী বক্স পাটওয়ারীর ছেলে শাহআলম পাটওয়ারী জানান, দীর্ঘদিন যাবত শফিক গাজি বিভিন্ন স্থান থেকে দুর্ধর্ষ চোর এনে হাইমচরের বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করিয়ে মানুষের লাখ লাখ টাকা সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে।

এ ছাড়া শফিক গাজি বিভিন্ন ধরনের নেশাদ্রব্য সেবন করায় এলাকার শান্তিপ্রিয় লোকজন তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না।

তিনি এলাকায় শান্তিশৃংখলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

 

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫