চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের গন্ডামারা গ্রামে আব্দুস সামাদ ভ’ইয়ার ছেলে আব্দুল মালেক ভূইয়ার স্ত্রী গৃহবধু খাদিজা আক্তারকে নির্যাতনে থানায় অভিযোগ দায়েরা করা হয়েছে।
বর্তমানে খাদিজা আহত অবস্থায় হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে হাইমচর থানায় খাদিজার চাচা ওয়াসিম পাটওয়ারী অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল ১০টায় গন্ডামারা গ্রামের সামাদ ভ’ইয়ার ছেলে আঃ মালেকের স্ত্রী গৃহবধু খাদিজাকে স্বামী স্ত্রীর কথা কাটাকাটি নিয়ে বেদম মারধোর করে ঘরে আটক করে রাখে।
খাদিজাকে মারধোরের সংবাদ পেয়ে তার পরিবারের লোকজন হাইমচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। তৎক্ষণিক অভিযোগের ভিত্তিতে হাইমচর থানা পুলিশ গৃহবধূ খাদিজা ও তার সন্তানকে উদ্ধার করেন। নির্যাতিত খাদিজা হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
নির্যাতিত খাদিজা জানান ‘আমাদের ৭ বছরের সংসারিক জীবনের একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। বিবাহের পর থেকে আমার স্বামী আমাকে বিভিন্ন সময় বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। না দিতে পারলে আমাকে বিভিন্ন ভাবে শারিরীক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের এক পর্যায় আমার স্বামী আমাকে গরম পানির চেকাও দেয়। আমি এ পর্যন্ত বাপের বাড়ি থেকে ৪ লাখ টাকা এনে দেই। আমার কাছে পুনরায় টাকা চাইলে দিতে না পারায় আমাকে আমার বাপের বাড়ি যেতে দেয়নি। আমার অসুস্থ্য নানুকে দেখার জন্য স্বামীকে বললে নানান ভাবে গালমন্দ করে এবং আমাকে মেরে জখম করে পেলে। আমার সাথে থাকা মোবাইল, কানের দুল ও নাকের ফুল ছিনিয়ে নেয়।
এব্যাপারে হাইমচর থানার এসআই মোঃ মোস্তফা জানান, ‘থানায় নির্যাতনের একটি অভিযোগ দায়ের করলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতা খাদিজা ও তার সন্তানকে উদ্ধার করি। উভয় পক্ষের লোকজন ঈদের পরে মিমাংসা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
প্রতিবেদক -বিএম ইসমাইল
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ৪০ এএম, ২৪ জুন ২০১৭, শনিবার strong>
ডিএইচ