Home / উপজেলা সংবাদ / হাইমচর / হাইমচরে গর্ভবতী নারী ও শাশুড়িকে পিটিয়ে রক্তাক্ত
গর্ভবতী

হাইমচরে গর্ভবতী নারী ও শাশুড়িকে পিটিয়ে রক্তাক্ত

হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গর্ভবতী নারী, বৃদ্ধা শাশুড়ি ও স্বামীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। ৯ জুন রোববার বিকেলে নীলকমল ইউনিয়নের মাঝের চর হাওলাদার কান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহত ওই গর্ভবতী নারী এবং তার স্বামী ও শাশুড়ি বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহতরা হলেন, নীলকমল ইউনিয়নের হাওলাদার কান্দি এলাকার মৃত মরন আলী খানের স্ত্রী কুলসুমা বেগম (৫০) তার গর্ভবতী পুত্রবধূর শাহিদা বেগম (১৮) এবং পুত্র মো. রবিন খান (২৩) ও জসিম খান (১৬)।

আহত গর্ভবতী নারী শাহিদা বেগমের স্বামী মো. রবিন খান জানান, প্রতিবেশি বেইল্লার পুত্র ইদ্রিস আলী মোল্লা (৪০) আমাদের জমিতে জোরপূর্বক হাল দিচ্ছিলো। বিষয়টি দেখতে পেয়ে আমি তাকে আমাদের জমিতে হাল দিতে বাদা দেই। এতে ইদ্রিস আলী মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালমন্দ এবং খারাপ ব্যাবহার করে। ঘটনাটি আমি আমার মা কুলসুমা বেগমকে জানালে তিনি ইদ্রিস আলী মোল্লাকে জিজ্ঞেস করতে যান। এসময় ইদ্রিস আলী মোল্লা, তার সহযোগী নজরুল সর্দার ও তার ছেলে হাসান সর্দার, জহিরুল সর্দার ও তার ছেলে জীবন সর্দার, ইদ্রিস আলীর স্ত্রী খালেদা মিলে আমার মাকে বেদম পেটাতে থাকে। খবর পেয়ে আমার গর্ভবতী স্ত্রী শাহিদা বেগম, ছোট ভাই জমিস খান ছুটে গেলে তাদেরকেও দেশীয় অস্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

গর্ভবতী নারী শাহিদা বেগম বলেন, অভিযুক্তরা আমার শাশুড়ির মাথা ও বুকে ধারালো অস্র দিয়ে আঘাত করে। তিনি মাটিতে লৃটিয়ে পড়লে তারা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আমার শাশুড়ির পা ভেঙ্গে ফেলে। আমার দেবর , জমিসের মাথায় ধারালো অস্র দিয়ো কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমি একজন গর্ভবতী নারী হয়েও তাদের হাত থেকে বাঁচতে পারেনি।

গুরুতর আহম কুলসুমা বেগম বলেন, অভিযুক্ত ইদ্রিস আলী মোল্লা এর আগেও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে পিটিঢে আহত করেছে। সে এলাকার ময়-মুরুব্বী কাউকেই বাদ-বিচার করে না। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর ইদ্রিস আলী মোল্লা এবং তার পরিবার আমাদের উপর নানান ভাবে জুলুম নির্যাতন করে আসছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এই ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ১০ জুন ২০২৪