হাইমচর

হাইমচরে কৃষিতে বিভিন্ন ফসলে ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি

হাইমচরে আলু, সয়াবিন, ভুট্টা ও বাঙ্গী চাষে মনোযোগী হয়েছেন কৃষকেরা। গত বছর মেঘনায় অনাকাঙ্ক্ষিত জোয়ার ও মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিতে ফসলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। এ বছর তা পুষিয়ে নিতে পুনরায় আলু, বাঙ্গী ও সয়াবিন চাষ শুরু করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষকগন।

এদিকে প্রতি বছর বাঙ্গির বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফোটে সেই সাথে তরমুজ চাষের মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা তাদের। এই প্রথম বারের মতো হাইমচরে তরমুজ চাষ শুরু করেছেন একজন কৃষক। যার সংবাদ পেয়ে অনেকেই কৌতুহলি হয়েছেন। দেখতেও এসেছেন অনেকেই। উপজেলা কৃষি অফিসার দেবব্রত সরকার ইতিমধ্যে সকল প্রকার পরামর্শ সহ দিকনির্দেশনা দিয়ে হাইমচরে তরমুজ উৎপাদনে সফলতা লাভের সকল পন্থা অবলম্বন করছেন। গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রদর্শনী ও সুপরামর্শ দিয়ে আসছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগন।

সয়াবিন চাষি জাকির হোসেন শেখ জানান, গত বারের তুলনায় এবার আমাদের সয়াবিন গাছ মজবুত ও সুন্দর হয়ে উঠেছে। যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তবে ভালো ফলনের আশাবাদী আমরা।

আলু ও বাঙ্গী চাষি সৈয়দ আহমেদ জমাদার জানান গত বছর মেঘনার জোয়ারে তলিয়ে যাওয়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি আমরা। এবার আলুর ফলন অনেকাংশেই ভালো হয়েছে এবং বাঙ্গীতেও অধিন ফলনের আশাবাদী।

উপজেলা কৃষি অফিসার দেবব্রত সরকার বলেন- হাইমচরে সব ধরনের ফসল ও শাকসবজি জম্মে সহজেই। কিন্তু বাদাম, তরমুজ সহ বিভিন্ন শস্য উৎপাদন এ মাটি উপযুক্ত নয়। তবুও আমরা ভালো মানের বীজ ফেলে ভালো ফসল উৎপাদনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

তিনি আরও বলেন- গত বছর মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ার ও মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার বিভিন্ন প্রদর্শনী ও সুপরামর্শ দিয়ে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদক:মোঃ ইসমাইল,৮ মার্চ ২০২১

Share