হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী কথিত অপহৃতা ২১ দিন পর অপহরণকারী বউ হয়ে ফিরে এসেছেন।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্ব) বিকেল ৪টায় আলগী দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আ.জলিল মাস্টারের বাড়িতে উপস্থিত হন কথিত ওই অপহৃতা স্কুল ছাত্রী।
পরে দু’পরিবারের সমঝোতায় অপহৃতাকে তার পিতার জিম্মায় দিয়েছে আদালত। তাই ছাত্রীর বাবা অপহরণ মামলা প্রত্যাহারেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চরভাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমান ভুইয়ার স্কুল পড়–য়া মেয়ে একই এলাকার বেপারী বাড়ির বিল্লাল বেপারীর ছেলে ফয়সালের সাথে প্রেমের টানে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বিষয়টি অপহরণভেবে হাইমচর থানায় প্রথমে অজ্ঞাত নামে জিডি ও পরবর্তীতে একটি মহলের প্ররোচনায় ফয়সাল তার পিতা ও চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কাউসার বেপারীদ্বয়ের বিরুদ্ধে হাইমচর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২/৭৬, তারিখ ৮-০৯-২০১৬।
ইউপি চেয়ারম্যান সংবাদটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাএস আই মো. আনোয়ারকে জানান।
এসআই আনোয়ার গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে ছাত্রীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে বলে ‘স্বেচ্চায় আমি ফয়সালকে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে চলে গিয়েছি। এ ক’দিন আমার এক আত্মীয়ের কাছে গাজিপুর ছিলাম। আমি ফয়সালকে বিয়েও করেছি। ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত আমি বাবার কাছেই থাকতে চাই।’
এসআই আনোয়ার তাকে থানা হাজতে এনে পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর কোর্টে প্রেরণ করলে কোর্ট তার বাবার জিম্মায় দিয়ে দেন। গণ্যমান্যদের সহযোগিতায় দু’পরিবারের সমাঝোতায় নিরাপরাধ মানুষ হয়রানী হতে মুক্ত হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯:৩০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ