Home / উপজেলা সংবাদ / হাইমচর / হাইমচরের যৌতুক মামলার আসামি মুরাদ সুধারাম থানায় আটক
যৌতুক

হাইমচরের যৌতুক মামলার আসামি মুরাদ সুধারাম থানায় আটক

চাঁদপুর জেলা হাইমচর উপজেলার জান্নাত বেগমের করা যৌতুক মামলার প্রধান ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি মুরাদ সালাউদ্দিন কে নোয়াখালীর সুধারাম থানা পুলিশ শুক্রবার  রাতে আটক করে। আটককৃত আসামী মুরাদ সালাউদ্দিনকে থানার থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য প্রভাবশালী লোকজনের জোড় তকবির চালিয়ে যাচ্ছে বলে বাদী জান্নাত বেগম জানান।

চাঁদপুর জেলা হাইমচর উপজেলার চরপোড়ামূখী গ্রামের মোঃ মুনছুর গাজী মেয়ে জান্নাত বেগম তার স্বামী নোয়াখালী জেলা সুধারাম থানার সাং হোগলী মোঃ আমির হোসনের ছেলে মুরাদ সালাউদ্দিন কে প্রধান আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুক মামলার দায়ের করেন। মামলা নং সিআর ১০৬/২১, স্বারক নং ১৪৩/২১।

আসামী মুরাদ সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গত ১৮ নভেম্বর চাঁদপুর কোর্টে ওয়ারেন্ট ইস্যু করলে গত ২৪ ডিসেম্বর সুধারাম থানায় তাকে আটক দেখা।  মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে কথা বলা,  দেখা করা ভাল লাগা থেকে ভালবাসা তারপর বিয়ে। জান্নাত  ও মুরাদ সালাউদ্দিন উভয় পছন্দ করে ২০১৬ সালের জুলাই মাসের ৪ তারিখে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরের শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। 

পারিবারিক  দাম্পত্য জীবন তাদের একটি পুত্র সন্তানের জম্ম দেয়। কিছু বছর যাবৎ তাদের সুন্দর ভাবে সংসার জীবন চলছিল। মেয়ের সুখের জন্য তার বাবা মেয়ের জামাইকে বিদেশ যাওয়ার জন্য ২ লক্ষ টাকা হাওলাত দেয়।  জান্নাতের বাবার দেওয়া টাকা চাইতে গেলে শুরু হয় সংসারে অশান্তি। মুরাদ সালাউদ্দিন জান্নাতের প্রতি ভালবাসা ও সংসারে ভাত কাপড় দিয়ে কষ্ট দিতে থাকে তারই মাঝে জান্নাত কে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে সালাউদ্দিন ও তার পরিবার জান্নাত কে তার বাপের বাড়িতে তাড়াইয়া দেয়। জান্নাত ও তার ৪ বছরের শিশু পুত্র নিয়ে বাপের বাড়িতে কষ্টে জীবন কাটাতেছে। 

এ ব্যাপারে জান্নাত জানান, আমার স্বামী আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে আমাকে চাপ দেয়। আমার বাবার পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। টাকা না দিতে পারায় আমাকে  তাদের বাড়ির থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি আমার সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাই। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমি আমার সংসার ফিরে পেতে সে ব্যবস্থা করে দিতে। যাতে আমার ছেলে কে নিয়ে একটি স্থায়ী ঠিকানা পাই।

প্রতিবেদকঃ বিএম ইসমাইল