পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার আসামি তাদের মেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানকে দেয়া নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল গ্রহণ করে ঐশীর জরিমানা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ঐশীর আবেদন গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ঐশী রহমানের পক্ষে শুনানি করেন সুজিত চাটার্জী, মাহবুব হাসান রানা। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সীমা ও সাবিনা ইয়াসমিন।
এর আগে গতকাল (রোববার) মৃত্যুদণ্ড খালাস চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন ঐশীর আইনজীবী। আপিল আবেদনে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চাওয়ার পাশাপাশি ঐশীর বিচার প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। হাইকোর্টে ঐশীর পক্ষে লড়বেন আইনজীবী আফজাল এইচ খান।
বাবা-মাকে হত্যার দায়ে ঐশী রহমানকে দেওয়া ফাঁসির রায়ের নথিসহ ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌছে। মা-বাবা হত্যা মামলায় গত ১২ নভেম্বর নিহতদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদের আদালত। ঐশীকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার অন্য আসামি ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে খুনের ঘটনার পর ঐশীদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে দু’বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও একমাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। অপর আসামি ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি খালাস পেয়েছেন।
দু’টি খুনের জন্য পৃথক দু’টি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। দু’টি অপরাধের জন্য আলাদা আলাদা করে ঐশীকে দুইবার ফাঁসি ও দু’বারে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
গত বছরের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর আবুল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দু’টি চার্জশিট দাখিল করেন।
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট : ০৩:৫০ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫, সোমবার
ডিএইচ