গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ তুলে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আগামী ২৮ জুনের মধ্যে আইন অনুসারে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
দুই মেয়র প্রার্থী ও নির্বাচন কমিশনের আবেদন নিষ্পত্তি করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে এস এম শফিকুল ইসলাম বাবু এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান মোস্তফা।
গতকাল আপিল বিভাগ সীমানাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে আবেদনগুলোর শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন।
গত ৮ মে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে দুই মেয়র প্রার্থী আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন এবং গতকাল নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনও আবেদন করেন।
গত ৬ মে এক রিট আবেদনের শুনানি গ্রহণ করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে রুলও জারি করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে ৬ মে সকালে রিট আবেদনটি দায়ের করেন অাওয়ামী লীগ নেতা ও সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। গত ৪ মার্চ সিটি করপোরেশনের সীমানা নিয়ে গেজেট জারি হয়। যেখানে শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ী, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, পানিশাইল ও ডোমনাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন আগামী ১৫ মে হওয়ার কথা ছিল।