সারাদেশ

হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন

কুমিল্লার মেঘনায় উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে আসছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।

এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে শত শত বাড়িঘর নদীবক্ষে বিলীন হওয়ার পথে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিটপিটিশন দায়ের করেন (৭২৫০/২০ নং)।

পিটিশনের জবাবে উচ্চ আদালত গত ২০ অক্টোবর ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু হাইকোর্টের ওই আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং সাপমারা চরেরগাঁও ৬নং সেনেরচর মৌজার অভ্যন্তরে মেসার্স নার্গিস ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান বালু উত্তোলনের ইজারা পায়।

ইজারা পাওয়ার পর থেকে নির্দিষ্ট ডিমারগেশন এরিয়া ছেড়ে গ্রামের কোলঘেঁষে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছিল। ফলে রামপ্রসাদের চর, চালিভাঙ্গা, বড়ইকান্দিসহ আশপাশের ২০-২৫ গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটছেন এলকাবাসীর।

চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও আব্দুল কাইউয়মসহ ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান লতিফ সরকারের নেতৃত্বে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ডিমারগেশন এরিয়া ছেড়ে গ্রামের কোলঘেঁষে দিনরাত বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশানের সহায়তা চাইলেও তারা ইজারার কথা বলে পাস কাটিয়ে সিন্ডিকেটের পক্ষে কাজ করছে।

আবদুল লতিফ সরকার বলেন, আমি বৈধ ইজারার মাধ্যমে নিদিষ্ট এলাকায় বালু উত্তোলন করছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কোনো কপি এখন পর্যন্ত হাতে পাইনি।

এ ব্যাপারে মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রবীর কুমার রায় বলেন, নার্গিস ট্রেডার্স নামে ইজারদার প্রতিষ্ঠানের বালু উত্তোলন বন্ধে আদালতের কোনো আদেশ এখন পর্যন্ত পাইনি, পেলে অবশ্যই বালু উত্তোলন বন্ধ করা হবে।

বার্তা কক্ষ,২৭ অক্টোবর ২০২০

Share