হাঁটুর ওপর কাপড় উঠে গেলে কি অজু ভাঙবে?

অনেকের মুখেই শোনা যায়, অজু করার পর কোনোভাবেই যেন হাঁটুর উপর কাপড় উঠে না যায়। কারণ হাটুর উপর কাপড় উঠে গেলে নাকি অজু ভেঙ্গে যায়।

তেমনি পা ধৌত করার সময় যদি হাঁটু খুলে যায় তাহলেও যতটুকু অজু করা হয়েছে তা ভেঙ্গে যায় এবং আবার শুরু থেকে অজু করতে হবে। এ কারণে অনেককে নতুন করে অজু করতেও দেখা যায়। এ ধারণা ঠিক নয়।

হাঁটু সতরের অন্তর্ভুক্ত এবং তা ঢেকে রাখা অপরিহার্য। পা ধোয়ার সময় সতর্কতার সাথে ধোয়া উচিত যেন হাঁটু খুলে না যায় বা অর্থ্যাৎ হাঁটুর উপর কাপড় উঠে না যায়।

কিন্তু এ কথা ঠিক নয় যে, হাঁটু খুলে গেলে অর্থ্যাত হাঁটুর উপর কাপড় উঠে গেলে অজু ভেঙ্গে যায় কিংবা অজুর মাঝে এমনটি হলে নতুন করে অজু করা জরুরি!!

অজু ভঙ্গের কারণগুলো ছাড়া অন্য কোনো কারণেই অজু ভাঙ্গে না। অজু ভঙ্গের যে সাতটি কারণ রয়েছে সতর খুলে যাওয়ার কথা তার মাঝে নেই।

ব্যাপক উপকারিতার স্বার্থে অজু ভঙ্গের কারণ সাতটি উল্লেখ করা হলো

 প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হলে অজু ভেঙ্গে যাবে; সেটা প্রস্রাব-পায়খানা, রক্ত, বায়ু, ক্রিমি যাই হোক না কেন।

 শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্ত,পুঁজ বা পানি ইত্যাদি বের হয়ে গড়িয়ে গেলে।

. মুখভরে বমি করল অজু ভেঙ্গে যাবে। মুখভরে বমি করার অর্থ হল এত পরিমান বমি আসা যে মুখে সেটা আটকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়। আর কিছুক্ষণের মধ্যে একি ভাবের কারণে অল্প অল্প করে কয়েকবার বমি করে আর সেটার সমষ্টিগত পরিমান যদি মুখভরে বমির সমপরিমান হয় তাহলেও অজু ভেঙ্গে যাবে। আর এমনিতে সামান্য পরিমান বমি যা মুখভরে বমির সমপরিমান হয় না তাতে অজু ভাংবে না।

৪. থথুতে রক্তের পরিমান যদি থুথুর সমপরিমান বা থুথু থেকে বেশি হয় তাহলে অজু ভেংগে যাবে।

. বেহুশ, পাগল বা অচেতন হলে।

. চিত বা কাত বা উপুড় [উপুড় হয়ে ঘুমানো নিষেধ] ঘুমালে অজু ভেঙ্গে যাবে। এভাবে নিতম্বের একপার্শ্বে ভর করে ঘুমালেও অজু ভেঙ্গে যাবে। কেউ যদি কোন কিছুতে ঠেস দিয়ে এমনভাবে ঘুমায় যে ঠেস দেয়া বস্তুটি সরিয়ে নিলে সে পড়ে যাবে। এক্ষেত্রে মলদ্বার যদি আসন থেকে উঠা থাকে তাহলে সর্বসম্মত মতে অজু ভেংগে যাবে। আর যদি মলদ্বার আসনের সাথে ভালভাবে চাপা অবস্থায় থাকে যে বায়ু নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না তাহলে অধিকাংশ ফকীহদের মতে অজু ভাঙ্গবে না।

. নামাজের মধ্য এরকম শব্দ করে হাসা যে পাশে কেউ থাকলে সে শুনতে পাবে এরকম শব্দ করে হাসলেও অজু ভেঙ্গে যাবে। আর যদি এরকম শব্দ করে হাসে যে শুধু নিজে শুনতে পায় পাশে কেউ থাকলে সে শুনতে পাবে না তাহলে অজু ভাঙ্গবে না বাকি নামাজ ভেঙ্গে যাবে। আর যদি এরকমভাবে হাসে যে হাসির শব্দ অন্য লোক শুনতে পাবেই না এমনকি নিজেও শুনতে পায় না তাহলে এতে অজু বা নামাজ কোনোটাই ভাঙ্গবে না।

চাঁদপুর টাইমিস ইসলাম ডেস্ক: ।। আপডেট ১০:৪২ পিএম ২০ অক্টোবর, ২০১৫ মঙ্গলবার

ডিএইচ

Share