হরিপুরে মিথ্যা মামলায় বড় ভাইকে হয়রানি

ঘটে যেতে পারে যেকোনো সময় খুন-জখম

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার পতনডোবা গ্রামে জাহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জমি-জমা সংক্রান্তে নিজের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারকে কারণে অকারণে একাধিক মিথ্যা মামলার আসামী করে হয়রানীর শিকার করার অভিযোগ উঠেছে।

জমি-জমা সংক্রান্তে দুই ভাইয়ের বিরোধ মিমাংশার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও ছোট ভাই জাহিরুলের অসৎ আচরণ ও আক্রোশমূলক কথাবার্তার কারণেই নিরসণ হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাইয়ের বিরোধ মিমাংশা না হওয়ার কারণে এলকাবাসী আশংকা করছে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের খুন-জখমের ঘটনা।

এই নালিশী জমির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিগত কয়েক বছর আগে তাদের বাবা নিজ আত্মীয়দের হাতে দিনের বেলায় জনসম্মুখে খুন হয়।

জাহিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম উপজেলার ৪ নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের পতনডোবা গ্রামে মৃত মইনউদ্দীন ওরফে রবির ছেলে।

ঘটনা ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, হরিপুর উপজেলার ৪ নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের পতনডোবা মৌজার ৪২ ও ৭০ নং খতিয়ানের ২৯৪/৩১০/৪৪৪/৪৫২/৪৫৮/ ৭৯২/৪৮৩/৪৮৯/৪৯১/২৮৫/২১৮ নং দাগের ৩.১২ শতকের মধ্যে ১.৩৪ শতক জমি ভাগ বাটোয়া ও দখলকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।

রফিকুলের দখলে থাকা সম্পত্তি ছোট ভাই জাহিরুল আতœসাৎ করার জন্য বড় ভাইয়ের বিরদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার এলাকায় অভিযোগও রয়েছে।

এবিষয়ে রফিকুলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই জাহিরুল তাঁর দখলে থাকা জমিতে সে নিজেই দীর্ঘ দিন ধরে চাষাবাদ করে আসছে। এমনটি সেই জমিগুলোতে বর্তমানে তাঁর রোপণকৃত ধান রয়েছে। অথচ আমার ছোট ভাই জাহিরুল আমার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক জমি দখল ও মারপিটের আদালতে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে আমাকে হয়রানী ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য জাহিরুল আমার বাসায় অন্যের মাধম্যে ফেন্সিডিলের বোতল ঢুকিয়ে থানা পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ে করায় এবং বিগত কয়েক মাসপূর্বে আমার একমাত্র কন্যার বিয়ে আগের রাত্রে থানা পুলিশের সাথে আতাৎ করে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেল হাজতে পাঠাই। সম্প্রতি স্থানীয়দের উদ্যোগে আমাদের বিরোধ মিমাংশা করার জন্য গ্রামে সালিশ বৈঠক বসলে সে সালিশী বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আমাকে খুন-খারাপির হুমকিও দেওয়া দেয়।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় সালিশী বৈঠকের ক’জন উদ্যোক্তা জানান, যতবারই আমরা সালিশ বৈঠক করেছি তাতে রফিকুলের খুব একটা দোষ পায় নাই। প্রতিবারই জাহিরুলের মিথ্যা ও অসৎ আচরণের বহির্প্রকাশ ঘটেছে এবং জাহিরুলে কারণেই তাদের মধ্যে বিরোধগুলো মিমাংশা হচ্ছে না। দিনদিন তাদের বিরোধ খুন-জখমের আকার ধারণ করছে। এবিষয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জাহিরুলে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

কবিরুল ইসলাম কবির

 

|| আপডেট: ০৮:০৮ পিএম,২৬ অক্টোবর ২০১৫, সোমবার

 এমআরআর

 

Share