মোদি বিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ৭ জন তৌহিদী জনতাকে শহীদ ও নিরস্ত্র মুসল্লিদের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে সকাল সন্ধ্যা হরতাল বাস্তবায়নে বিক্ষোভ সমাবেশ ও লাঠি মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখা।
২৭ মার্চ শনিবার বিকালে শহরের শপথ চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হোসাইন।
জেলা হেফাজত ইসলাম সাধারণ সম্পাদক এস এম আনওয়ারুল করিমের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা হেফাজত ইসলামের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীব মুক্তিযোদ্ধা মুফতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুফতি মাহবুবুর রহমান, মাওলানা ইদ্রিস, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা আবুল হাসনাত, মাওলানা কবির অাহমেদ ও মাওলানা আশেকে এলাহী প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও হযরত শাহজালালের। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসে একজন খুনীকে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। বাংলার তৌহিদি জনতা কখনো তা মেনে নিতে পারে না। ভারত যতই শক্তিশালী হোক না কেন তৌহিদি জনতার কাছে ভারত কিছুই না। আমাদের শাহাদাত বরণের প্রস্তুত রয়েছে। শুক্রবার ৭জন শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। এতের প্রতিটি রক্তের ফোটা অমোদের বিজয় অানবেই।
তারা আরোও বলের, যখন সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবো, তখন আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশ করতে হচ্ছে। গতকালকের ঘটনায় যে ৭টি তাজা প্রাণ শেষ হয়ে গেল, তিনি কি সেই স্বজন হারানোর ব্যাথা বুঝতে পেরেছেন। মোদি বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা গুলি ছোড়ল, তারা আমাদের পুলিশ হতে পারে না। তারা ভিনদেশের পুলিশ। মোদি যদি সুবর্ণজয়ন্তীতে আসতেন তাহলে শুধু মন্দির পরিদর্শন করতেন না মসজিদেও যেতেন কিন্ত তিনি তা করেননি। সকল ঈমানদার মুসলমান ভাইদের প্রতি আহ্বান আপনারা অগামীকাল দোকানপাট ও যানবাহন বন্ধ রাখবেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশটি শেষ হলে মিছিলটি শহরের শপথ চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে মিশন রোড এলাকায় শেষ হয়। তবে হরতালের সমর্থনে মিছিলটিতে অংশ গ্রহণকারীদের হাতে অনেক বাঁশ দেখা যায়। কোথায় কোন হতাহতের বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,২৭ মার্চ ২০২১