চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৪:৪৫ অপরাহ্ণ, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার
হবিগঞ্জে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সামাজিক অপরাধ। প্রকাশ্যে স্কুল ছাত্রীকে চড়-থাপ্পরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করলো দুই যুবক।
সম্প্রতি হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে বখাটেদের আনাগোনা বেড়ে যায়। আর এতে করে ঘটে যাচ্ছে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা। বখাটেদের স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে তুলে দিলেও তদবিরবাজদের কারনে থানা থেকে মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে তারা। কোন প্রকার শাস্তি না হওয়ায় উৎসাহিত হচ্ছে বখাটেরা।
গত ২১ আগস্ট হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের সামনে থেকে ৫ বখাটেকে আটক করা হয়। তাদেরকে থানায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়। এর ২দিন পর ২৩ আগস্ট দুপুরে বিকেজিসি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে থেকে অস্ত্রসহ ৬ বখাটেকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে দেয়। পরে তারাও থানা থেকে মুচলেকায় মুক্তি পেয়ে যায়।
এ ঘটনার ৫ দিন পর হবিগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পর মেরে লাঞ্ছিত করে রাহুল নামের এক বখাটে। আর লাঞ্ছিতের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়া হয় ইন্টারনেটে।
এনিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। পর দিন স্থানীয়দের সহযোহিতায় বখাটে রাহুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আর এর টিক দু’দিন পরই বিকেজিসি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর আরেক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ধারণকৃত ভিডিওটি ইন্টারনেটে প্রকাশ করে বাজারে বিক্রি করে ৩ যুবক।
অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- হবিগঞ্জ শহরের বগলাবাজার এলাকার নারায়ণ দেবের পুত্র রাজন দেব (২১) ও উমেদনগর এলাকার মাখন মিয়ার পুত্র নুরুল আলম (২২)।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে শহরের বগলাবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২৬ আগস্ট শহরের বিকেজিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে শহরতলীর কামড়াপুর এলাকার সেলিম মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (২১)।
এ দিন সিরাজ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আর এ দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে তার বন্ধু নুরুল আলম। পরে ওই ভিডিও সিরাজ, তার বন্ধু নুরুল আলম ও রাজন নামে তিন যুবক ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়।
শুধু তাই নয়, রাজন ওই ভিডিও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন যুবকদের কাছে বিক্রিও করে। আর ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া ভিডিওটি ৭ সেপ্টেম্বর দেখতে পান ছাত্রীটির বাবা। তিনি ওইদিনই সিরাজকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তাদের ধরতে সক্ষম হয়।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur