বিএনপির কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়া ও পদ বঞ্চিত প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চেয়েছেন।তারেক রহমান তাদের বলেছেন হতাশ হবেন না। একটু অপেক্ষা করুন। কিন্তু তারেক রহমান এখন কোন পদ বঞ্চিত নেতাকে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিচ্ছেন না। তারা তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করছেন। ফোন দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি ওই সব নেতাদের কোন ফোনও রিসিভ করছেন না।
তার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে ও মোবাইল ফোনে কথা বলতে না পেরে নেতারা মোবাইল ফোনে ভয়েজ মেসেজ ও টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েছেন। এটা করে এই টুকু সান্তনা খুঁজছেন যাতে এই ম্যাসেজটা গেলেও অন্তত তার ইচ্ছের কথাটি তারেক রহমান জানতে পারবেন। তার কাছে এইভাবে বেশ কয়েকজন নেতা বার্তা পাঠানোর সুযোগ পেয়েছেন।
তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একজন নেতা জানান, বিএনপির কমিটিতে কয়েকজন নেতা গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। তাদেরকে পদ দেওয়া হবে এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়ছিলো। সেই জন্য তারা কাজও করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েছেন। কারণ ৫০২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কোথাও তাদের নাম নেই। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও হতে পারেননি। ওই সব নেতারা তার সঙ্গে দেখা করার ও কথা বলার চেষ্টা করছেন।
এই রকম একজন নেতা সরাসরি তারেক রহমানের সেল ফোনে ফোন করেন। তারেক রহমান ফোন ধরেননি। তিনি ইদানিং কয়েকজন নেতা ছাড়া কারো ফোন রিসিভ করছেন না। এই কারণে ওই নেতারও ফোন ধরেননি। ওই নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে তারেক রহমানের ফোনে ভয়েজ ম্যাসেজ পাঠান। তারেক রহমান তার মোবাইল ফোনে মেবাইল ম্যাসেজটি পান। সেটা শুনে সিদ্ধান্তও নেন।
ওই নেতা তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, তিনি তারেক রহমানের মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠানোর পর তিনি তা শোনেন ও উত্তরও দিয়েছেন।
ওই নেতা বলেন, ম্যাসেজ পাঠানোর একদিন পর আমি তার ব্যক্তিগত সহকারিকে ফোন করি। তিনি জানান, ভাইয়া আপনার ম্যাসেজ পেয়েছেন। তিনি আপনাকে অপেক্ষা করতে বলেছেন। হতাশ না হওয়ার জন্য বলেছেন। আরো বলেছেন, সম্ভাবনাও আছে।
ওই নেতা তারেক রহমানের সহকারিকে জানান, তিনি লন্ডনে আসতে চান এই ব্যাপারে তারেক রহমানের সহকারি তাকে জানান, আপনাকে এখন না আসার জন্য বলা হয়েছে। ভাইয়া বলেছেন, প্রয়োজন হলে সময় মতো আপনাকে ডেকে পাঠাবেন।
ওই নেতা জানান, তিনি লন্ডনে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাকে আপাতত লন্ডনে না যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তারেক রহমান। ওই নেতা বলেন, আমি যেতে চেয়েছিলাম তার সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু তিনি অনুমতি না দেওয়ায় যাচ্ছি না। তবে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। সেই হিসাবে ধৈর্য ধরে আছি। তিনি বলেন, আমাকে একটি আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদ দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসাবে নিজের অবস্থান থেকে অনেক কাজও করেছি।
(স্বাধীনবাংলা২৪/এআর)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:২৬ পি,এম ১১ আগস্ট ২০১৬,বৃহস্পতিবার
ইব্রাহীম জুয়েল