গত কয়েকদিন আগে বাজারে যে চিনি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকায় শুক্রবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
প্রতি কেজি চিনিতে বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা।
শুধু চিনি নয় পাশাপাশি বেড়েছে ছোলার দাম। কয়েকদিন আগে প্রতি কেজি ছোলা ৬৫ টাকা থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনির দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। ছোলার দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। এক মাস আগে প্রতি কেজি চিনি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় এবং ছোলা ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হতো।
এদিকে, শুক্রবার খুচরা বাজারে তুরস্ক ও কানাডা থেকে আমদানি করা বড় দানার প্রতি কেজি ডাল ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা, মাঝারি দানা ১০৫ টাকা থেকে ১১৫ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা আগের সপ্তাহে ছিল বড় দানা ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায়, মাঝারি দানা ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি আমদানি করা ডালে বেড়েছে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা।
খুচরা ব্যবসায়িরা বলছেন, পাইকারী বাজার থেকে বেশি দামে ডাল কিনতে হচ্ছে বলে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। তবে পাইকারী ব্যবসায়িরা ডাল বাড়ার প্রকৃত কারণ তুলে ধরতে পারেনি।
ডালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়িরা সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দাম বাড়ার বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়।
বাজারে নতুন রসুন ওঠা শুরু হওয়ার পর থেকে আমদানি করা রসুনের দাম স্থির আছে। খুচরা বাজারে আমদানি করা প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকায়।
অপরদিকে, বাজারে ডিমের দাম সামান্য বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা থেকে ৩৪ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা থেকে ৩২ টাকা। পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা। এছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮২০ টাকায় (একশ)।
ডিম ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে ডিমের দাম সামান্য বেড়েছে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে ডিমের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন তারা।
রাজধানীর স্বামীবাগ, খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মান ভেদে প্রতি কেজি বেগুন ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, সাদা গোলাকার বেগুন ২৫ টাকায়, গাজর ২০ টাকায়, খিরাই ২০ টাকায়, ঝিঙা ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায়, দোন্দল ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, শালগম ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, বটবটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, কচুর ছড়ি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, লতি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, মরিচ ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, টমেটো ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, করলা ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, ওস্তা ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, পটল ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৩৫ টাকায় এবং ছোট লাউ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা থেকে ১৬০ টাকায়। বাজারে গরুর ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত আছে। বাজারে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৪৫৫ টাকায়। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়। (বাংলামেইল)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ১:০৬ পিএম, ২ মার্চ ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ