Home / শীর্ষ সংবাদ / করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ও তথ্য দেওয়া হঠাৎ বন্ধ
করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে

করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ও তথ্য দেওয়া হঠাৎ বন্ধ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ও তথ্য জানানো হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে কুমিল্লা কোভিড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা জানানো হচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ তথ্যপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত সোমবার ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে ১০ জনের মৃত্যুর পর জেলা কোভিড ব্যবস্থাপনা কমিটি ভার্চ্যুয়াল সভা করে কোভিড রোগীর মৃত্যু ও ভর্তির সংখ্যা না জানানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একদিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা দুই অঙ্কের হওয়ায় হাসপাতালটির চিকিৎসাসেবা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ৩ জুন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিত্সার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসের একটি ভবনে কুমিল্লা কোভিড হাসপাতাল চালু হয়। ১৫৪ শয্যার এই হাসপাতালে ১৮ শয্যার আইসিইউ আছে। যেখানে রোগীর চাপ বেশি। এর মধ্যে গত ৭৭ দিনে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭৫। আর গত ৪ দিনে কোভিডে যথাক্রমে ১০, ৬ , ৫ ও ৩ জন মারা গেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ চিকিত্সকদের বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ ও অনভিজ্ঞ চিকিত্সকদের দিয়ে সেবা দেওয়া হলেও রোগীদের কাছে তাঁরা তেমন যান না। নার্সেরাও প্রত্যাশিত সেবা দিচ্ছেন না। ফলে এই হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সিভিল সার্জন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ কয়েকজন জুম সভা (ভার্চ্যুয়াল সভা) করেন। এতে মৃত্যুর সংখ্যা না জানানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। গত বুধবার রাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তথ্য না জানানোর বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

তবে হাসপাতালের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে,বৃহস্পতিবার করোনায় একজন ও উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, গত ৩ জুলাই এই হাসপাতাল চালু হয়। ২৭ জুলাই ছাড়া প্রতিদিনই কেউ না কেউ এই হাসপাতালে মারা গেছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে সব তথ্য দেওয়া হতো। গত বুধবার রাতে ভার্চ্যুয়াল সভা করার পর জেলা কোভিড কমিটি নিয়মিত তথ্য না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এখন থেকে তথ্য দেবে।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় বৃহস্পতিবার কোভিড হাসপাতালের করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নমুনা নেওয়া হবে। এরপর পরীক্ষা করে দেখা হবে তিনি করোনায় মারা গেছেন কি না। গেলে তথ্য দেওয়া হবে। না গেলে উপসর্গ নিয়ে মৃতের কোনো তথ্য দেওয়া হবে না।’

করেসপন্ডেট,২১ আগস্ট ২০২০