গাড়ি থেকে নেমেই হাতে থাকা কাগজে মুখ আড়াল করলেন। খানিক হেঁটে গিয়ে রাস্তার পাশের গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে ঢুকলেন। কাগজে ওভাবেই মুখ ঢাকা। বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে গ্রাহকদের লাইনে দাঁড়ালেন।
সিম পুনর্নিবন্ধনে ফার্মগেটের বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের সেবাকেন্দ্রের গ্রাহকের সাধারণ চিত্রটায় রবিবার যেন একটু অসাধারণত্ব ছিল।
কাগজে মুখ ঢেকে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। কর্তব্যরত কর্মীদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি তুলে দিয়ে এবার শাড়ির আঁচলে মুখ ঢেকে নিলেন তারানা। বেলা ৩টা ৫ মিনিটে এ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে প্রবেশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
মুখ ঢাকা অবস্থায়ই সিম পুনর্নিবন্ধনের বিষয়ে নানা প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিলেন, একসময়ের দাপুটে অভিনেত্রী। গ্রামীণফোনের কর্মী বুঝেই উঠতে পারেননি যে ডাক ও টেলিযোগাযোগের দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রীর সিম নিবন্ধন করছেন তিনি।
আঙুলের ছাপ দিয়ে সিম নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পরই মুখ থেকে আঁচল সরিয়ে দেন তারানা হালিম। সিম নিবন্ধন করা কর্মী বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যান। মুহূর্তে প্রতিমন্ত্রী খানিকটা সরে আসতেই সেখানে অবস্থান নেওয়া বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে মন্ত্রীকে ঘিরে ধরেন।
মুহূর্তে উৎসুক হয়ে ওঠেন সেবাকেন্দ্রের কর্মীরা। মন্ত্রীরে পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন তাদের অনেকেই।
সাংবাদিকরা প্রতিমন্ত্রীর কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তারানা হালিম সহাস্যে বলেন, ‘যারা এখানে আছেন তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনাটা দেখলাম। দেখে ভালো লাগল। আমার তিনটি গ্রামীণ সিমের মধ্যে দুটি আমার সঙ্গে না থাকায় তারা ফিরিয়ে দিয়েছে। হয়তো কাল-পরশু বাকি দুটি সিম নিয়ে আবার আসব। আমার ব্যক্তিগত সিমটি আজ রেজিস্ট্রেশন করলাম।’
এরপর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বেরিয়ে ফার্মগেটের বিটিআই সেন্ট্রাল প্লাজার নিচতলায় টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে যান তারানা। সেখানে গিয়ে তিনি তার টেলিটক সিম রেজিস্ট্রেশন করেন। আঁচলে মুখ ঢেকে সেখানে গেলেও ভেতরে ঢুকে আঁচল সরিয়ে নেন তিনি।
গত ১৬ ডিসেম্বর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন ও পুনর্নিবন্ধন শুরু হয়েছে দেশে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
||আপডেট: ০৭:১৮ অপরাহ্ন, ২৭ মার্চ ২০১৬, রোববার
চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর