চাঁদপুর

হটস্পট চাঁদপুরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ : রেড জোনের সিদ্ধান্ত আজ!

করোনার হটস্পট তথা রেড জোনে পরিণত হওয়া চাঁদপুর জেলা শহর পুরোপুরি লকডাউনের দাবি উঠেছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পৌরবাসী বেশ কিছু দিন ধরে তাদের দাবি উত্থাপন করে আসছে। অনেকেই চাইছেন, শহরে কারফিউ জারি হোক কিংবা কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করা হোক।

এ বিষয়ে আজ ১৪ জুন রোববার চাঁদপুর জেলা করোনা বিষয়ক প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল মূলতবী সভায় কঠোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় রেড জোন কার্যকরের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। তবে এই মুহূর্তে কারফিউ জারির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে আভাস মিলেছে। সূত্র আরো জানায়, কঠোর লকডাউন অথবা রেড জোন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত আসতে পারে আজ।

চাঁদপুর জেলায় করোনা সংক্রমণের পর থেকে শনিবার (১৩ জুন) পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৩জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩২জন। উপজেলা পর্যায়ে সর্বাধিক করোনা রোগী চাঁদপুর সদর উপজেলায়। চাঁদপুর সদর উপজেলায় মোট শনাক্তকৃত ১৫৭জনের মধ্যে ১৪৩জন চাঁদপুর শহরের। সদরের ইউনিয়ন পর্যায়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪জন।

এসব পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, সারা জেলায় এখন পর্যন্ত যতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে একতৃতীয়াংশের বেশি রোগী চাঁদপুর শহরের। এতেই বোঝা যায়, সারা জেলার মধ্যে করোনার সর্বাধিক ঝুঁকিতে আছে চাঁদপুর শহর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমমেধ্য চাঁদপুর জেলার সব ক’টি উপজেলাকে রেড জোনের আওতাভুক্ত করলেও চাঁদপুর শহরে সবার আগে রেড জোন কার্যকরের দাবি পৌরবাসীর।

সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী চাঁদপুর জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ৪১৩জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ১৫৭জন, ফরিদগঞ্জে ৪৯জন, হাজীগঞ্জে ৪৯জন, শাহরাস্তিতে ৪৮জন, মতলব দক্ষিণে ৩৮জন, কচুয়ায় ২৮জন, হাইমচরে ২৫জন ও মতলব উত্তরে ১৯জন।

এছাড়া জেলায় মোট ৩২জন মৃতের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ১০জন, হাজীগঞ্জে ৭জন, কচুয়ায় ৪জন, ফরিদগঞ্জে ৪জন, শাহরাস্তিতে ৪জন, মতলব উত্তরে ২জন ও মতলব দক্ষিণে ১জন।

পৌরবাসীর দাবির বিষয়ে শনিবার রাতে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, শনিবার অনুষ্ঠিত জেলা করোনা বিষয়ক প্রতিরোধ কমিটির সভায় করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে রোববার এ বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সিভিল সার্জনের মতামত সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ শনিবার রাতে মুঠোফোনে বলেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা ও তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছি। আশা করি, রোববারের সভায় একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে। ‘রেড জোন, লকডাউন নাকি অন্য উপায়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা হবে’- এমন প্রশ্নের জবাবে অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন তিনি। (প্রবাহ)

১৪ জুন ২০২০

Share