Home / ইসলাম / জেনে নিন এক নজরে হজ্বের ফরয ও ওয়াজিব
জেনে নিন এক নজরে হজ্বের ফরয ও ওয়াজিব

জেনে নিন এক নজরে হজ্বের ফরয ও ওয়াজিব

হজ ইসলামের অন্যতম সর্বোত্তম ইবাদাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে হজের বিনিময়ের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত বর্ণনা করেছেন।

একজন হাজি সকল প্রকার অন্যায় বর্জন করে সঠিকভাবে হজের কার্যক্রম আদায় করতে পারলে আল্লাহ তাআলা তাকে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকের ন্যায় নিষ্পাপ করে দিবেন। হজ পালনে হাজিদের জন্য ফরজ এবং ওয়াজিব বা আবশ্যক করণীয় কাজ রয়েছে। যা তুলে ধরা হলো-

হজ্বের ফরয তিনটি:

১. ইহরাম বাঁধাপর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও আরাফায় অবস্থান করা।
২. উকূফে আরাফা অর্থাৎ ৯ই যিলহজ্ব জোহরের পর থেকে ১০ই যিলহজ্বের সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত সামান্য সময়ের জন্য হলেও আরাফায় অবস্থান করা।
৩. তাওয়াফে যিয়ারাত করা অর্থাৎ ১০ই যিলহজ্ব থেকে ১২ই যিলহজ্ব সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হজ্বের তাওয়াফ করা।

হজ্বের ওয়াজিবসমূহ

১. হজের উদ্দেশ্যে মিকাত (ইহরামের নির্দিষ্ট স্থান) ত্যাগ করার পূর্বেই ইহরাম বাঁধা;
২. সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতেরর ময়দানে অবস্থান (ওকুফ) করা;
৩. ক্বিরান বা তামাত্তু হজ আদায়কারী ব্যক্তির জন্য কুরবানি আদায় করা এবং তা কংকর নিক্ষেপ ও মাথা মুণ্ডন করার মর্ধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা;
৪. সাফা-মারওয়া পাহাড়ে সাঈ করা, সাঈ সাফা পাহাড় থেকে শুরু করা;
৫. মুযদালিফায় অবস্থান (ওকুফ) করা;
৬. তাওয়াফে জিয়ারাত আইয়্যামে নহরের (দিনের বেলায়) মধ্যে সম্পাদন করা;
৭. রমি বা শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করা;
৮. মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটা, তবে মাথা মুণ্ডনের পূর্বে কংকর নিক্ষেপ করা;
৯. মিকাতের বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে সদর বা বিদায়ী তাওয়াফ করা।

উল্লেখিত কাজসমূহের মধ্যে কোনো একটি ছুটে গেলে হজ আদায় হয়ে যাবে তবে, ছুটে যাওয়া কাজের জন্য দম (অর্থাৎ কাফফারা স্বরূপ কুরবানি) দিতে হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফরজ ইবাদাত হজ পালনে হজের ওয়াজিবগুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply