দুপুরের কড়া রোদে দুই দলের খেলোয়াড়দেরই বাড়তি পরিশ্রম করে খেলতে হয়েছে। তবে যতটুকু নৈপুণ্য তারা দেখাতে পেরেছে, তাতে অনেকটাই এগিয়ে বাংলাদেশের ছেলেরা। চীনা তাইপের বিপক্ষে তাই সেমিফাইনালে জয়টাও এল ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে।
এই জয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকির ফাইনালে পা রেখেছে বাংলাদেশ। অবশ্য এই টুর্নামেন্টে এর আগে বাংলাদেশ খেলেছেই একবার। ২০০১ সালে মালয়েশিয়ার ইপোতে সেবার অবস্থান ছিল পঞ্চম। গ্রুপে তিন জয় আর তিন ড্রয়ে সেমিফাইনালে ওঠা যায়নি।
টুর্নামেন্টের পরের দুটি আসরে বাংলাদেশ খেলেনি। ২০১১ সালে সর্বশেষ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া ও রানার্সআপ মালয়েশিয়া অবশ্য এবার খেলতে আসেনি; তবে এসেছে এশীয় হকির দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তান।
আগামিকাল মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে বাংলাদেশ সামনে পাবে এই দুই দলের একটিকে। আজ বিকেলেই দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
ফাইনালে যারাই সামনে আসুক, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। আশরাফুলের স্টিক স্বপ্ন পূরণের কাছাকাছি নিয়ে গেছে স্বাগতিক দলকে। আজ বাংলাদেশের ছয় গোলের তিনটিই আশরাফুলের। টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে তার গোল হলো ১০টি।
১১ মিনিটে গোলের খাতা খোলে আশরাফুল এবং যথারীতি পেনাল্টি কর্নারে। পিছিয়ে পড়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে পেনাল্টি স্ট্রোক পেলেও গোল করতে পারেনি তাইপের পো চুয়ান। তার দুর্বল হিট আটকে দিয়েছেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক ইয়াসিন আরাফাত। এরপর প্রাধান্য ধরে রেখে ২৮ মিনিটে ২-০ হয়েছে রাজুর স্টিকে।
প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে থাকা তাইপে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঘুরে দাঁড়ায় তাইপে। ৪০ মিনিটে পেনাল্টি কর্নারে ২-১ করে তারা। কিন্তু শক্তির বিচারে অনেকটা এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে রোখার সাধ্য ছিল না তাইপের! ৪৫ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোকে আশরাফুল, ৫৫ মিনিটে পেনাল্টি কর্নারে আশরাফুল ও ৫৯ মিনিটে সজীব করে পঞ্চম গোল।
৬৩ গোল উৎসবের ইতি টানল রাব্বি। ((প্রথম আলো)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪:৪০ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ